প্রথম ধাপেই ক্রিকেটারদের ভ্যাকসিন দিতে চায় বিসিবি!


চলতি মাসের শেষ সপ্তাহেই আসছে করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন। প্রথম ধাপে সবাই এই ভ্যাকসিন পাবে না। প্রয়োজন বুঝে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে চলবে ভ্যাকসিনেশন প্রক্রিয়া। যে অগ্রাধিকার তালিকায় আছেন মুক্তিযোদ্ধা, স্বাস্থ্যকর্মী, গণমাধ্যমকর্মী, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, পুলিশ বিভাগসহ আরও কয়েকটি ক্ষেত্র। আপাতত নেই ক্রিকেটাররা।

তবে অগ্রাধিকার তালিকায় ক্রিকেটারদেরও নিয়ে আসার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানালেন বিসিবির মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস।

সোমবার (১৮ জানুয়ারি) রাজধানীর দি ওয়েস্টিন হোটেলের বলরুমে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে অফিসিয়াল সম্প্রচারকারী চ্যানেলের নাম ঘোষণা অনুষ্ঠানে বিসিবির মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন। এর মধ্যেই এসেছে ক্রিকেটারদের ভ্যাকসিনেশনে অগ্রাধিকারের প্রসঙ্গ।

জালাল ইউনুস বলেন, ‘অবশ্যই এটা (ঘরোয়া ক্রিকেট) আমাদের প্রায়োরিটি (অগ্রাধিকার)। আমাদের মাননীয় সভাপতি (বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন) বলেছেন উনি সর্বাত্মক চেষ্টা করবেন সরকারের সঙ্গে কথা বলে। এমনকি আমাদের মাননীয় ক্রীড়ামন্ত্রীও (মোঃ জাহিদ আহসান রাসেল) বলেছেন যে, খেলোয়াড়দের প্রায়োরিটি দেয়া হবে ভ্যাকসিনের ব্যাপারে।’

বিসিবির মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জানান, মূলত ঘরোয়া ক্রিকেট যাতে দ্রুত মাঠে গড়ানো যায়, সেজন্যই ক্রিকেটারদের যত দ্রুত সম্ভব ভ্যাকসিন প্রদান কর্মসূচিতে অন্তর্ভূক্ত করার চেষ্টা চলছে।

ফুটবলাররা যেহেতু অগ্রাধিকার পাচ্ছেন না, শুধু ক্রিকেটাররা কেন? জালাল ইউনুসের যুক্তি, ‘দেখেন, ফুটবল তো খুব শর্ট টার্ম খেলা। মাঠে সময় কম লাগে এবং ড্রেসিংরুমেও। ক্রিকেটে যেমন আট ঘন্টা লাগে। চার ঘন্টা লাগে টি-টোয়েন্টির জন্য। আট ঘন্টারও বেশি লাগে ওয়ানডের জন্য। লংগার ভার্সনের খেলা ধরলে চারদিনের ব্যাপার। অনেকগুলো ইস্যু আছে ফুটবলের সঙ্গে তুলনা করতে পারি না। আমাদের খুবই সতর্ক থাকতে হবে ‘

ক্রিকেটাররা কোন ভ্যাকসিন নেবেন? সেই বিষয়েও বিস্তারিত কিছু বলতে পারলেন না বিসিবির মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান। তার কথা, ‘আমি তো ডাক্তার না। ভ্যাকসিনের কথা আমি বলতেও পারবনা, কে কোনটা ইউজ করবে। এটা আমার বিষয় নয়। এখন সরকার থেকে যেটা অনুমোদন আসবে, আমরা ওইটার জন্যই যাব।’