প্রধানমন্ত্রীর ঘর পেয়ে মহাখুশি উপকারভোগীরা রৌমারী ভূমি ও গৃহহীন পরিবারের মাঝে ঘরের চাবি হস্তান্তর


মাজহারুল ইসলাম, রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি: জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মমশতবার্ষিকী উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় ভূমিহীন ও গৃহহীন কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলায় ৫০ টি পরিবার পেয়েছে পাশাপাশি চর রাজিবপুর উপজেলায় ৩৫০টি নতুন ঘর পেয়ে আনন্দের সাগুড়ে ভাসছে দুই উপজেলার উপকারভোগীরা। শনিবার (২৩ জানুয়ারী ) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গুচ্ছগ্রাম প্রকল্পের অধীনে নির্মিত এসব ঘরের উদ্বোধন করেন। জন্মান্ধ মিজানুরসহ সুবিধাভোগী পরিবারর মাঝে উপজেলা পরিষদ হর রুমে এসব ঘরের চাবি হস্তান্তর করেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন এমপি।

উপজেলা পরিষদ হল রুমে ভিডিও কনফারেন্স অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা বিষায়ক প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন -এমপি, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শেখ আব্দুল্লাহ্,উপজেলা নির্বাহী অফিসার আল ইমরান, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আজিজুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক কমান্ডার ও নব-নির্বাচিত বন্দবেড় ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের সরকার, উপজেলা আ‘লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল ইসলাম মিনু, দাঁতভাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান এস.এম রেজাউল করিম, উপজেলা আ‘লীগের যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক নজরুল ইসলাম, উপজেলা যুবলীগ সভাপতি হারুনর রশিদ হারুন, রৌমারী ইউনিয়ন আ‘লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আফজাল হোসেন বিপ্লব, সাংবাদিকবৃন্দ প্রমুখ।

 

অনুষ্ঠান শেষে উপজেলার বন্দবেড় ইউনিয়নের টাঙ্গারিপাড়া গ্রামে মোনতাজ আলীর ছেলে জন্মান্ধ মিজানুর রহমানের কাছে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় ভূমিহীন ও গৃহহীন পূনর্বাসন প্রথম ঘরের চাবি ও দলিল পত্র তুলে দেয়া হয়। এসময় প্রতিমন্ত্রী জন্মান্ধ মিজানুরের কাছে পাঁচ হাজার ফোন নম্বর মুখস্ত আছে জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রীর, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা চেয়ারম্যানসহ অনেকের ফোন নম্বর মুখস্ত বলেন। পরে স্বাবলম্বী হওয়ার লক্ষে ব্যবসার করার জন্য ১ লক্ষ টাকা দিবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন প্রতিমন্ত্রী।

 

অন্ধ মিজানুর বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দেয়া প্রথম ঘরটি পেয়ে আমি অনেক আনন্দিত। এখন আমরা নিজের নামে জমি ও ঘর পেলাম। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কে অনেক ধন্যবাদ।

 

উপজেলা প্রশাসন অফিস সূত্রে জানা গেছে, আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর আওতায় উপজেলায় মোট ৫০ টি আধা পাকা সেমি ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। বন্দবেড় ইউনিয়নে ১০ টি, যাদুরচর ইউনিয়নে ৩০ টি ও দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নে ১০টি ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। প্রত্যেক ঘর বাবদ নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ১ লক্ষ ৭৩ হাজার টাকা। উপজেলার বন্দবেড় ইউনিয়ন গিয়ে দেখা যায়, টাপুরচর বাজারের পাশে একটি পুকুর পাড়ে রাস্তার ধারে নির্মাণ করা হয়েছে দৃষ্টিনন্দন বাড়ি। ঘরগুলোতে ব্যবহার করা হয়েছে লাল রংঙের টিন। দুইরুম বিশিষ্ট বাড়িতে রয়েছে একটি রান্নাঘর, গোসলখানা, টয়লেটসহ অন্যন্যা সুবিধা রয়েছে।

 

উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শেখ আব্দুল্লাহ বলেন, ঘরগুলোর নির্মাণ কাজের শুরু থেকে আমি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ নিজেই উপস্থিত হয়ে দেখভাল করেছি। কাজের যেন কোনো অনিয়ম না হয় সেই দিকে সব সময় নজর রেখেছি। এসব ঘর উপজেলা ভূমি ও গ্রহহীনদের মাঝে হস্তান্ত করা হলো।

 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আল ইমরান জানান, মুজিব জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সারাদেশের ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য আধা সেমি পাকা ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। উপজেলায় ৫০ টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার পাচ্ছেন ওই ঘর। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধন শেষে সুবিধাভোগী পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

 

এবিষয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন-(এমপি) বলেন, দেশের সব গৃহহীনদের বাসস্থান নিশ্চত করবে সরকার। কেউ গৃহহীন থাকবে না। এটি ছিল আওয়ামীলীগের অঙ্গিকার। মুজিব শতবর্ষে গৃহহীনদের ঘর নিমার্ণের মাধ্যমে শেখ হাসিনার করা অঙ্গিকার আজ তা বাস্তবায়ন হচ্ছে। আওয়ামীলীগ সরকার যে উন্নয়নে বিশ্বাসী এটি তার বড় উদাহরণ।