অজয় ঘোষ, রাজশাহী: ধর্ষণ বিরোধী আন্দোলনের নামে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে কটুক্তি করার প্রতিবাদে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, রাজশাহী মহানগরের উদ্যোগে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহষ্পতিবার বিকেলে আয়োজিত এই বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, রাজশাহী মহানগরের সভাপতি ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মাননীয় মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, রাজশাহী মহানগরের সাধারণ সম্পাদক মোঃ ডাবলু সরকার, সাবেক উপ-প্রচার সম্পাদক মীর ইশতিয়াক আহম্মেদ লিমন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ডা. আনিকা ফারিহা জামান অর্ণা।
উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, রাজশাহী মহানগরের সাবেক সহ-সভাপতি বিশিষ্ট সমাজসেবী শাহীন আকতার রেনী, বীর মুক্তিযোদ্ধ মীর ইকবাল, বীর মুক্তিযোদ্ধা নওশের আলী, অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশা, মাহফুজুল আলম লোটন, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মোস্তাক হোসেন, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুজ্জামান আজাদ, অ্যাড. আসলাম সরকারসহ মহানগর আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
বিকেলে কুমারপাড়াস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে সাহেব বাজার জিরো পয়েন্টে এসে শেষ হয়। এরপর সেখানে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সিটি মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, ধর্ষকের কোন দল নেই, ধর্ষক অপরাধী। ধর্ষণের বিচার হোক আমরাও চাই। কিন্তু ধর্ষণের বিচারের দাবিতে আন্দোলনের নামে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের রাস্তায় নামিয়ে রাজপথ উত্তপ্ত করছে জামায়াত-শিবির ও দেশবিরোধী চক্র। আন্দোলনে ধর্ষণের বিচার দাবির পাশাপাশি শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটানোর আহ্বান জানানো হচ্ছে। এই ধরনের অপতৎপরতা হতে দেওয়া হবে না। আমি দলীয় নেতাকর্মীদের এই ধরনের অপতৎপরতা রুখে দেওয়ার আহ্বান জানাই।
মেয়র আরো বলেন, ধর্ষক যেই হোক না কেন, তাদের আইনের আওতায় এনে উপযুক্ত শাস্তি দিবে সরকার। ইতোমধ্যে আইন সংশোধন করে ধর্ষণের শাস্তি মৃত্যুদ- করার নিদের্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। শেখ হাসিনা সরকার মানেই উন্নয়ন, শেখ হাসিনা মানেই ধর্ষণমুক্ত বাংলাদেশ। ধর্ষণে জড়িতরা কেউ ছাড় পাবে না।
মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ ডাবলু সরকার বলেন, দেশ যখন মহামারি কাটিয়ে ধীরে ধীরে সামনের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। ঠিক এই সময় বিএনপি-জামায়াত দেশের স্থিতিশীল অবস্থাকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড নিশ্চিত করেছেন। ইতিমধ্যে যেসব ধর্ষকদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তাদেরও বিচারের মাধ্যমে শাস্তি প্রদান করা হবে। কাজেই ধর্ষণ বিরোধী আন্দোলনের নামে যারা দেশে অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি করছে তাদের দাঁত ভাঙ্গা জবাব দেওয়া হবে।