
বর্ণাঢ্য র্যালি পূর্ব সমাবেশে আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, বিএনপির ১০ দফা সংবিধান, আইন, আদালতের কবর দিয়ে অসাংবিধানিক অস্বাভাবিক জঙ্গি সরকার আনা এবং সর্বোচ্চ আদালত কর্তৃক যুদ্ধাপরাধ, জঙ্গীবাদী সন্ত্রাস, দূর্নীতি অপরাধে সাজাপ্রাপ্তদের পক্ষাবলম্বনের কালো দলিল।
তারা বলেন, ১০ দফা দিয়ে বিএনপি আবারও প্রমাণ করলো যে, তারা দেশকে সংবিধানের বাইরে ঠেলে ফেলে দিয়ে অসাংবিধানিক অস্বাভাবিক জঙ্গি সরকার আনার ষড়যন্ত্রের রাজনীতির পথই আঁকড়ে ধরে আছে। তাদের আসল উদ্দেশ্য যুদ্ধাপরাধ,জঙ্গীবাদী সন্ত্রাস ও দূর্নীতির বিচার বন্ধ করা। সর্বোচ্চ আদালত কর্তৃক সাজাপ্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধী, জঙ্গীবাদী সন্ত্রাসী, দূর্নীতিবাজদের মুক্ত করা।
বিএনপি সংবিধান, আইন, আদালত কোনো কিছুরই তোয়াক্কা করে না। তিনি আরও বলেন,দেশে সাজাপ্রাপ্ত হয়ে কোনোভাবে আলেম, ওলেমা, ইসলামী চিন্তাবিদ, ইসলাম ধর্ম প্রচারক বন্দি নাই। যুদ্ধাপরাধ ও জঙ্গীবাদী সন্ত্রাসের সুনির্দিষ্ট অভিযোগে প্রকাশ্য আদালতে সাজাপ্রাপ্ত এবং দেশের সর্বোচ্চ আদালত কর্তৃক সে সাজা নিশ্চিত হয়ে যারা বন্দি আছে তারা কেউই প্রকৃত আলেম, ওলামা, ইসালামি চিন্তাবিদ, ইসলাম ধর্ম প্রচারক নয়।

তারপরও পুরাতন ধাচের তত্ত্ববধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনা, আরপিও বাতিল করার দাবি তুলে বিএনপি সংবিধান অনুযায়ী যথাসময়ে অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচাল করিতে সংঘাত-সংঘর্ষের মাধ্যমে অস্বাভাবিক পরিস্থিতি তৈরি করে জলঘোলা করার পথে যাবারই ইংগিত দিয়েছে।বাংলাদেশ বিরোধী এই ষড়যন্ত্রের রাজনীতি মোকাবেলায় ঐক্যবদ্ধ থাকার জন্য দেশপ্রেমিক, গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক, প্রগতিশীল, শুভবুদ্ধিসম্পন্ন সকল ব্যক্তি, মহল, গোষ্ঠী ও শক্তির প্রতি আহবান জানান।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন শফিকুজ্জামান জয় বাংলা পরিষদ জেলা যুবলীগের সভাপতি মোঃ আবু সালেহ এবং সাধারণ সম্পাদক আলী আজম সেন্টু,জেলা যুবলীগের প্রচার সম্পাদক রফিকুল জামান,তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আঃ আল-মামুন সহ মহানগর যুবলীগ ৩নং ওয়ার্ড মোঃ নয়ন আক্তার সাংগঠনিক সম্পাদক আরও ছিলেন জয় বাংলা পরিষদের সভাপতি মোঃ ইমাম হোসেন,সাধারণ সম্পাদক মোঃ আরিফুল ইসলাম আর উপস্থিত ছিলেন জয় বাংলা পরিষদ বাবুসহ সহযোগী সংগঠনের কর্মীরা।