
অধ্যাপক নুরুল কবির বলেন, ৪০০ বছরের পুরোনো স্থাপনাটি অবহেলার শিকার। তিনি আরও বলেন যে ঐতিহাসিক স্থানটিকে ক্ষয়ের হাত থেকে বাঁচাতে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে হবে। ঢাকা গেটের অস্তিত্ব রক্ষা করে কীভাবে রেল নির্মাণ করা যায় বিশেষজ্ঞরা এখন সেই ধারণা করা শুরু করেছেন। তারা গেটের বৈশিষ্ট্য, পরিচয় এবং তার দৃশ্যমান বিকৃত না করতে বলছেন। বিশেষজ্ঞরা গেটটি রক্ষার জন্য তাদের সুপারিশ এবং ফলাফল জমা দিলেও এখনও সে লক্ষ্যে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
অধ্যাপক এ কে এম খাদিমুল হক (ইসলামী ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়), বলেন “ঢাকা গেটের ইতিহাস দিয়ে শুরু করলে দেখা যায়, এই ঐতিহ্য মোগল সাম্রাজ্যের সময় নির্মিত হয়েছিল। মুঘলরা যখন শাসন করছিল তখন মুঘল সুবেদার মীর জুমলা এটি নির্মাণ করেছিলেন, এটি ছিল শহরের উত্তর প্রান্ত এবং এটি ছিল ঢাকার প্রবেশদ্বার। সে সময়ের ঢাকা প্রায়ই মগ ও পর্তুগিজদের দ্বারা আক্রমনের শিকার হতো।
মীর জুলমা এ ব্যাপারে খুবই সতর্ক ছিলেন এবং বাস্তবতার ভিত্তিতে তিনি ঢাকাকে নিরাপদ করে তার নিরাপত্তা জোরদার করেছিলেন। সম্ভবত, ঢাকা গেট ছিল ঢাকা শহরের উত্তর প্রান্তে নিরাপত্তারক্ষীদের চেকপোস্ট।“ এছাড়া জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের ডিন অধ্যাপক এম এম হকের মতে “কোনও স্মৃতিস্তম্ভ ধ্বংস হবে না। মেট্রো রেল ঐতিহাসিক গেটের উপর দিয়ে যাচ্ছে।
এখনস্মৃতিসৌধগুলোর কী অবস্থা হবে? কম্পনের ফলে প্রাচীরে ফাটল হতে পারে এবং এটি প্রভাবিত হতেপারে। যেহেতু এটি ঢাকা গেটের উপর দিয়ে যাচ্ছে। ঢাকা গেট একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহ্য এবংমোগল ইতিহাসের প্রতীক। মেট্রোরেল এই ঐতিহাসিক ঐতিহ্যবাহী স্থানের উপর দিয়ে গেলে এর প্রভাব পড়বে।”