বানভাসী গৃহহীন মানুষের মুখের হাসি ফুটিয়ে, মানবতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করল -ইউএনও মামুন


আরিফুল ইসলাম, নাটোর প্রতিনিধি: গত মাসের মাঝামাঝিতে হঠাৎ করেই নলডাঙ্গা বারনই নদীর পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হলে ঘর বাড়ি ডুবে যায় পারভেজের। 

 গর্ভবতী মেয়ে সুরাইয়া সহ পরিবারের পাঁচ সদস্যকে নিয়ে আশ্রয় নেন শ্যামনগর গ্রামের  বিনছের আলীর বাড়িতে। খবর পেয়ে নলডাঙ্গার ইউএনও আবদুল্লাহ আল মামুন ডাক্তার ও পুষ্টিকর খাবার সহ সহযোগিতানকরেন এবং আশ্বান দেন সুরাইয়ার বাচ্চা প্রসব পর্যন্ত যাবতীয় ব্যবস্থা তিনি করে দিবেন।

গতকাল রাতে নলডাঙ্গার স্থানীয়  বিসমিল্লাহ ক্লিনিকে মা হয়েছেন সেই সুরাইয়া। বিসমিল্লাহ ক্লিনিকের পরিচালক আনোয়ার হোসেন বলেছেন,   এক ফুটফুটে মেয়ের জম্ম দিয়য়েছেন সুরাইয়া। মা ও মেয়ে দুজনই সুস্থ্য আছে। সবকিছুর ব্যবস্থা করে দিয়েছেন ইউএনও মামুন স্যার।

শনিবার বিকালে নলডাঙ্গা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আলীম সহ মা ও মেয়ে দেখে এসেছেন এবং ব্যক্তিগত ভাবে আর্থিক সহায়তাও মিষ্টি মুখ ওদের করেছেন।

এব্যাপারে ইউএনও মামুন বলেন, বন্যায় ঘর বাড়ি হারিয়ে তারা প্রচন্ড বিপর্যয়ের মধ্যে পড়ে গিয়েছিল। একজন মানুষ হিসেবে চেষ্টা করেছি  অসহায় মানুষগুলোর পাশে দাঁড়াতে। গতকাল সুরাইয়া ফুটফুটে একটি মেয়ের জম্ম দিয়েছে। এটিই সকলের জন্য বড় পাওয়া।

বানভাসী গৃহহীন মানুষের মুখের হাসি ফুটিয়ে, মানবতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করল সুরাইয়ার নবজাতক মেয়েটি যার চালক ইউএনও মামুন।