প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপির সমাবেশে কোন বাধা দেওয়া হবে না। এমনকি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপিকে সমাবেশের সুযোগ করে দিতে আগামী ৬ ডিসেম্বর ছাত্রলীগের সম্মেলনের পর মঞ্চ সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি।
রবিবার (২৭ নভেম্বর) আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের সভায় তিনি এসব কথা বলেন। বৈঠকে উপস্থিত একাধিক নেতা এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী পাঁচটি পৌরসভা ও ৫৪টি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়েছে এই বৈঠক থেকে।
এ সময় বৈঠকে উপস্থিত আওয়ামী লীগের এক সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বলেন, আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের সভায় বিএনপির ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশ নিয়ে কথা উঠলে আওয়ামী লীগ সভাপতি বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন। এ সময় শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপির সমাবেশে কোনো ধরনের বাধা দেওয়া হবে না। তারা তাদের মতো সমাবেশ করুক। বিএনপিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের সুযোগ করে দিতে ছাত্রলীগের সম্মেলনের পর মঞ্চ ভেঙে দিয়ে তা সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দিয়েছেন। যেন তারা (বিএনপি) তাদের মতো করে প্রস্তুতি নিতে পারে। নিজেদের মতো করে মঞ্চ তৈরি করে সমাবেশ করতে পারে।
এদিকে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল একই মঞ্চ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। গত ২৫ নভেম্বর স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ স্বাচিপের সম্মেলন দিয়ে শুরু হয়। এই মঞ্চে ছাত্রলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে এই দিন সকালে পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের জানান, বিএনপির সমাবেশের কথা বিবেচনায় নিয়ে ছাত্রলীগের সম্মেলন দুই দিন আগিয়ে ৬ ডিসেম্বর করতে বলেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি।
৫ পৌরসভা ও ৫৪ ইউপির আওয়ামী লীগের প্রার্থী হলেন :
পাঁচ পৌরসভার প্রার্থী হলেন- পঞ্চগড়ের বোদা পৌরসভায় আজাহার আলী, দিনাজপুরের বিরলে সবুজার সিদ্দিক সাগর, রাজশাহীর বাঘাতে শাহিনুর রহমান, নাটোরের বনপাড়াতে কে এম জাকির হোসেন এবং ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা পৌরসভায় সাইফুর রহমানকে নৌকা প্রতীক দেওয়া হয়েছে।
৫৪ ইউপির চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা হলেন- দিনাজপুরের বিরল উপজেলার রাজারামপুর ইউপিতে মুকুল চন্দ্র রায়। পার্বতীপুর উপজেলার পলাশবাড়ীতে মুহাম্মদ রুহুল আমীন।
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার সিন্দুর্ণাতে নূরুল আমিন। কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার মোগলবাসাতে মাহফুজার রহমান। গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার ঘুড়িদহ ইউপিতে জাকির হোসেন।
রাজশাহীর পুঁঠিয়া উপজেলার শিলমাড়িয়াতে সাজ্জাদ হোসেন (মুকুল), ভালুকগাছীতে জিল্লুর রহমান। নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার জোয়াড়ীতে চাঁদ মাহমুদ, মাঝগাঁওতে আব্দুল্লাহ্ আল আজাদ (দুলাল)।
কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার বেতবাড়ীয়াতে শফিকুল ইসলাম। পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার রণগোপালদীতে আবদুল আজিজ। ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার জিন্নাগড়ে হোসেন মিয়া, আমিনাবাদে জামাল উদ্দিন, নীলকমলে আলমগীর হাওলাদার।
টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার সন্ধানপুরে বেলাল, সংগ্রামপুরে আব্দুল মান্নান, রসুলপুরে কাজী মাহবুব উল হক (মাছুদ), লক্ষ্মীন্দরে সাইদুর রহমান, ধলাপাড়াতে শফিকুল ইসলাম। কালিহাতী উপজেলার বাংড়াতে শফিকুল ইসলাম।
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার আলফাডাঙ্গাতে সোহরাব হোসেন বুলবুল, গোপালপুরে ইনামুল হাসান, বুড়াইচে আব্দুল আলীম খান। ঢাকার সাভার উপজেলার ইয়ারপুর ইউপিতে মোশাররফ হোসেন মুসা।
ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া উপজেলার দেওখোলাতে ফরিদা ইয়াছমিন নিশি। হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার নুরপুরে সেবন মিয়া, ব্রাহ্মণডোরাতে হুসাইন মো. আদিল। মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার ফুলতলাতে মাসুক আহমদ মাসুক। সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার সুরমা ইউপিতে তাজুল ইসলাম।
কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার ভাউকসারে আহম্মেদ জামাল মাসুদ, শাকপুরে দেলোয়ার হোসেন। লাকসাম উপজেলার বাকই দক্ষিণে আবদুল আউয়াল, মুদাফফরগঞ্জ (উত্তর) শাহিদুল ইসলাম (শাহীন), মুদাফফরগঞ্জ (দক্ষিণ) আবদুর রশিদ। লালমাই উপজেলার বাকই উত্তর ইউপিতে আইউব আলী, পেরুল উত্তরে আবু ছালেহ মো. কামাল হোসেন। নাঙ্গলকোট উপজেলার রায়কোট (উত্তর) রফিকুল ইসলাম মজুমদার, রায়কোট (দক্ষিণ) আবুল কালাম ভূঁইয়া, আদ্রা (উত্তর) মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম মজুমদার, আদ্রা (দক্ষিণ) আবু ইউসুফ, জোড্ডা (পশ্চিম) আব্দুল হক ভূঁইয়া, জোড্ডা (পূর্ব) মোহাম্মদ নুরুল আফছার, বটতলীতে আবদুল জলিল, দৌলখাঁড়ে সৈয়দ মো. সাইফুর রহমান। দাউদকান্দি উপজেলার ইলিয়টগঞ্জ (দক্ষিণ) মামুনুর রশিদ, দৌলতপুরে মাকসুদ আলম জমাদার।
চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলার গাজীপুরে হাবিবুর রহমান গাজী। নোয়াখালী সদর উপজেলার নোয়ান্নইতে দিলদার হোসেন, নোয়াখালীতে আতাউর রহমান, ধর্মপুর ইউপিতে ছিদ্দিকুর রহমান। খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলার দীঘিনালা ইউপিতে বিদ্যুৎ রবন চাকমা আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন।