শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ক্ষমতা দখল করে সেই ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট বিলিয়ে দল গঠন করেছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেছেন, ‘খাবারের উচ্ছিষ্ট রাস্তায় বিলিয়ে যেমন প্রচুর কাকের সমাবেশ হয় তেমনই ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট বিলিয়ে দেয়ার পর রাজনীতির কাকেরা বিএনপিতে জড়ো হয়েছিলেন। আর বিএনপির মধ্যে যারা বড় বড় রাজনীতিবিদ, তারা সবাই রাজনীতির কাক।’
রবিবার (০৩ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এক স্মরণসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘মির্জা ফখরুল ইসলাম সাহেবের বাবা ছিলেন এরশাদ সাহেবের মন্ত্রী। প্রথমে মুসলিম লীগ করতেন তারপরে এরশাদ সাহেবের আমলে জাতীয় পার্টি করেছেন, মন্ত্রী হয়েছিলেন। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব প্রথমে বামপন্থি দল করতেন এবং ভাসানী ন্যাপ করতেন। আজকের পরশ ভাসানী নেই এবং মোস্তাক ভাসানী টিমটিম করে মওলানা ভাসানীর প্রদীপ জ্বালিয়ে রেখেছেন। আর ওনারা আজকে মাওলানা ভাসানীর আদর্শ ত্যাগ করে ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট নিয়ে বিএনপিতে জয়েন করেছেন। সেই তারা আজকে বড় বড় কথা বলেন।’
বিএনপিকে ইতিবাচক রাজনীতির ধারায় ফিরে আসার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আশা করেছিলাম বছরের প্রথম দিনে মির্জা ফখরুল ইসলামের কথাবার্তায় পরিবর্তন আসবে। আমি তার প্রতি যথাযথ সম্মান রেখেই বলতে চাই, দুঃখজনক হলেও সত্য বছরের প্রথম কয়েকটা দিনে তার মধ্যে ভাষার কোনও পরিবর্তন আসেনি। তিনি যে ভাষায় কথা বলছেন, এবছর তিনি নাকি সরকার উৎখাত করবেন। গত ১২ বছর ধরে তারা সরকারকে উৎখাত করতে গিয়ে নিজেরাই জনগণ থেকে উৎখাত হয়েছে।’
এ প্রসঙ্গে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমি তাদেরকে অনুরোধ জানাব, সরকার উৎখাতের যে কথা আপনারা প্রতিনিয়ত বলছেন এতে জনগণের কাছে আগে যেমন হাস্যকর হয়েছেন, এখনও হাস্যকর হচ্ছেন। আমি আপনাদের কাছে অনুরোধ জানাবো, আপনারা ইতিবাচক রাজনীতির ধারায় ফিরে আসুন। এতদিন যে ধ্বংসাত্মক রাজনীতি করেছেন, মানুষকে জিম্মি করে রাজনীতি করেছেন, মানুষ হত্যার রাজনীতি করেছেন এবং মানুষকে পুড়িয়ে হত্যার রাজনীতি করেছেন- নতুন বছরে এগুলোর জন্য জনগণের কাছে ক্ষমা চান। এবছর আমাদের প্রত্যাশা থাকবে দুটি। একটি হচ্ছে, করোনামুক্ত হবো এবং দুই, বিএনপি ইতিবাচক রাজনৈতিক ধারায় ফিরে আসবে।’
সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকে স্মরণ করে তিনি বলেন, ‘আমাদের দলের ইতিহাসে অনেকেই সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। ভবিষ্যতেও অনেকেই এ পদে দায়িত্ব পালন করবেন। কিন্তু আশরাফ ভাইয়ের মত এমন ভদ্রজন আমাদের দলের সাধারণ সম্পাদক খুব একটা পাইনি। রাজনীতিই জীবনের ব্রত ছিল তার।’
স্মরণ সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- পানিসম্পদক উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম, আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাড. বলরাম পোদ্দার ও আয়োজক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অরুন সরকার রানা প্রমুখ।