আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি এমন একটি দল যাদের নেতাদের মুখে মধু, অন্তরে বিষ।
মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি ভোটাধিকারের কথা বলে অথচ ১৫ ফেব্রুয়ারি ভোটারবিহীন প্রহসনের নির্বাচন আর সোয়া এককোটি বেশি ভুয়া ভোটার সৃষ্টি করেছিল। তাই তাদের মুখে মুখে কথামালার মধু ছড়ালেও অন্তরে বিধ্বংসী বিষবাষ্প। তাদের মুখে গণতন্ত্রের বুলি, কিন্তু চর্চায় লুটপাট আর সুবিধাবাদ। তারা স্বাধীনতার কথা বলে, কিন্তু লালন ও পোষণ করে স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি আর পৃষ্ঠপোষকতা করে সাম্প্রদায়িক শক্তিকে।
সেতুমন্ত্রী বলেন, শরম থাকলে বিএনপি নেতারা বিদ্যুৎ ও রিজার্ভ নিয়ে কথা বলতো না। কারণ, তারা দেশকে অন্ধকারে নিমজ্জিত করেছিল, দিনের পর দিন লোডশেডিং চলত, ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকত না, তারা আজ বিদ্যুৎ নিয়ে কথা বলে কোনো মুখে? তাদের কি বিন্দুমাত্র লাজ-শরম নেই?
কাদের বলেন, বিদ্যুতের নামে খাম্বা দিয়ে প্রতারণার কথা জনগণ এখনও ভুলে যায়নি। ভুলে যায়নি বিদ্যুতের দাবিতে মিছিলে গুলির কথা। হারিকেন-কুপি নিয়ে বিক্ষোভের কথা এবং বিদ্যুৎ ভবন ঘেরাও করার কথাও।
তিনি বলেন, দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতার কোনো ঘাটতি নেই, ঘাটতি হচ্ছে জ্বালানি সংকট নিয়ে, আর এই সংকট শুধু বাংলাদেশে নয়, এ সংকট বিশ্বব্যাপী। এই সংকট আগে তো ছিল না, সরকার দেশে শতভাগ বিদ্যুৎ দিয়েছিল। তবে জ্বালানির সংকট সমাধানে এখনও সরকারের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা রয়েছে।
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, আওয়ামী লীগ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য আন্দোলন করেছিল দেশের মানুষের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা ও ভাতের অধিকারের জন্য, কিন্তু বিএনপি তো তখন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিরোধিতা করেছিল। কিন্তু এখন বিএনপি আমাদের সেই আন্দোলনের উদাহরণ দেয়। এসব তাদরে মুখে মানায় না।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে কলঙ্কিত করেছে বিএনপি। তাদের নেত্রী তখন বলেছিলেন শিশু আর পাগল ছাড়া নিরপেক্ষ কেউ নন, কিন্তু বিএনপি নেতারা এখন এ কথা কেন বলে না। এখন তাদের কেন এ পশ্চাদযাত্রা, আসলে বিএনপি ভবিষ্যৎমুখী নয়, তারা পশ্চাদমুখী।