ভারতের ‘উপহারের টিকা’ কাল নয়, আসছে পরশু


উপহার হিসেবে ভারত করোনা ভাইরাসের যে ২০ লাখ ডোজ টিকা বাংলাদেশকে দিচ্ছে, তা আগামীকাল নয়, পরশু এসে পৌঁছুবে। মঙ্গলবার (১৯ জানুয়ারি) ভারতীয় কূটনৈতিক সূত্র গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছে।

এদিকে আজ স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. জাহিদ মালেক বলেছেন, ‘ফ্লাইট শিডিউল অনুযায়ী ভারত থেকে বাংলাদেশে টিকা আসবে। সেটা আগামীকালও হতে পারে, পরের দিনও হতে পারে। ফ্লাইট শিডিউল এখনও জানা যায়নি।’

তিনি বলেন, ‘শুরুতে ইউনিয়ন পর্যায়ে টিকা দেয়া হবে না। টিকা দেয়া হবে উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে। প্রথম আসা টিকা দেয়া শুরু হবে ঢাকায়।’

দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক ও অন্যদের সঙ্গে সভা শেষে স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘দেশের কোনও গুরুত্বপূর্ণ মানুষকে টিকা দেয়ার মাধ্যমে টিকাদান কার্যক্রম শুরু হবে না। প্রথমে স্বাস্থ্যকর্মী ও অন্য কর্মীদের টিকা দেয়া হবে।’

গতকাল সোমবার ঢাকা ও দিল্লির কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, আগামীকাল বুধবার ভারত থেকে ২০ লাখ টিকা আসছে। তা ভারত সরকার উপহার হিসেবে বাংলাদেশের মানুষকে দিচ্ছে। তারা দ্রুততম সময়ে টিকা দেয়ার সব ধরনের চেষ্টা চালাচ্ছে। তবে আজ কূটনৈতিক সূত্র জানালো, এ টিকা বৃহস্পতিবার বাংলাদেশে আসছে।

অক্সেফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও অ্যাস্ট্রাজেনেকা কোম্পানির যৌথ উদ্যোগে তৈরি ‘কোভিশিল্ড’ নামের করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিনটি বাজারজাত করছে ভারতের ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান সেরাম ইন্সটিটিউট। গেল শনিবার (১৬ জানুয়ারি) থেকে ভারতের মানুষকে টিকা দেয়ার কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

উপহারের বাইরে গেল ৫ নভেম্বর ‘কোভিশিল্ড’ নামের ওই টিকার ৩ কোটি ডোজ কিনতে সেরামের সঙ্গে চুক্তি করে বাংলাদেশ সরকার। এই ৩ কোটি ডোজ দেশের নাগরিকদের বিনামূল্যে প্রয়োগ করবে সরকার। গত ৪ জানুয়ারি বাংলাদেশের ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর এ টিকা আমদানি ও জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দেয়। চুক্তি অনুযায়ী, ২৫ জানুয়ারির মধ্যে প্রথম ধাপে ভারত থেকে সেরামের ৫০ লাখ ডোজ টিকা বাংলাদেশে আসার কথা রয়েছে।

সম্প্রতি স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. জাহিদ মালেক জানান, বাংলাদেশে ভারত থেকে আনা প্রতি ডোজ টিকার ক্রয়মূল্য হবে ৪ ডলার (দেশীয় মুদ্রায় প্রায় ৩৪০ টাকা)। সব মিলিয়ে এ দাম পড়বে ৫ ডলার (দেশীয় মুদ্রায় প্রায় ৪২৫ টাকা)।

করোনা ভ্যাকসিন ক্রয় চুক্তির ধারা অনুযায়ী, ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট ৬ মাসে বাংলাদেশকে ৩ কোটি টিকা দেয়ার কথা রয়েছে। প্রতিমাসে টিকা আসবে ৫০ লাখ করে। বাংলাদেশ সরকার জনগণকে বিনামূল্যে এ টিকা দেয়ার ঘোষণা আরও আগেই দিয়ে রেখেছে। এছাড়া বেক্সিমকো বেসরকারিভাবেও ৩০ লাখ টিকা আনবে, যার প্রতি ডোজের দাম পড়বে ১ হাজার ২০০ টাকা।