চলমান ওয়ানডে বিশ্বকাপে রীতিমতো অপ্রতিরোধ্য দলে পরিণত হয়েছে ভারত। এখন পর্যন্ত ১০ ম্যাচের সবকটিতে জিতে ফাইনালে উঠে গেছে রোহিত শর্মার দল। প্রথম পর্বের ৯ ম্যাচ জেতার পর সেমিফাইনালে ব্যাট-বলে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে নিউজিল্যান্ডকে উড়িয়ে দিয়েছে তারা।
দুর্দান্ত এই ভারতীয় দলের বিরুদ্ধে অবশ্য নানা ধরনের অভিযোগও উঠছে। প্রথম পর্বের খেলা চলার সময় ভারতের বোলাররা বোলিং করার সময় বল বদলে দেওয়ার অভিযোগের আঙুল তোলেন পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার হাসান রাজা।
এরপর ভারতের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে সেমিফাইনালের পিচ পরিবর্তনের। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম মেইল অনলাইন গতকাল দাবি করেছিল, স্পিনারদের সুবিধা দিতে আইসিসির অনুমতি না নিয়েই ভারতের ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড (বিসিসিআই) সেমিফাইনালের উইকেট পরিবর্তন করেছে।
ভারত-নিউজিল্যান্ড সেমিফাইনাল ম্যাচের জন্য মূলত ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামের ৭ নম্বর উইকেট পূর্বনির্ধারিত ছিল। লিগ পর্বে এ মাঠে অনুষ্ঠিত চার ম্যাচের একটিও ৭ নম্বর উইকেটে হয়নি। কিন্তু নতুন পিচে না খেলে পুরোনো পিচে খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সংবাদমাধ্যমটি দাবি করেছিল, আইসিসি ও বিসিসিআইয়ের ৫০ জনের বেশি কর্মকর্তাদের একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের খুদে বার্তা থেকে নিশ্চিত হওয়া গেছে, প্রথম সেমিফাইনাল ম্যাচ ৭ নম্বর উইকেট থেকে সরিয়ে ৬ নম্বর উইকেটে স্থানান্তর করা হয়েছে।
লিগ পর্বে এই উইকেটে ইংল্যান্ড-দক্ষিণ আফ্রিকা ও ভারত-শ্রীলঙ্কা ম্যাচ হয়েছে। শেষ পর্যন্ত খেলাও হয়েছে ৬ নম্বর উইকেটে। আইসিসি পুরো বিষয়টিকে স্বাভাবিক বললেও অনেকেই এর সমালোচনা করেছেন। ম্যাচে অবশ্য দেখা গেছে পিচ থেকে স্পিনাররা তেমন সুবিধা পাননি।
নিউজিল্যান্ডের তিন স্পিনার মিচেল স্যান্টনার, রাচিন রবীন্দ্র ও গ্লেন ফিলিপস আর ভারতের দুই স্পিনার রবীন্দ্র জাদেজা ও কুলদীপ যাদব—এই পাঁচজন স্পিনার মিলে নিতে পেরেছেন মাত্র ১টি উইকেট।
মেইল অনলাইনের ওই প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, রোহিত শর্মার দল ফাইনালে উঠলে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচের নির্ধারিত উইকেটও বদলে ফেলা হবে। পিচ বদলের এই বিষয় নিয়ে যারা কথা বলছেন, ভারতের কিংবদন্তি ক্রিকেটার সুনীল গাভাস্কার তাদের সমালোচনা করেছেন।
পিচ বদল নিয়ে যখন আলোচনা তুঙ্গে, পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার সিকান্দার বখত তুলেছেন নতুন অভিযোগ। পাকিস্তানের টিভি চ্যানেল জিও সুপারে তিনি বলেছেন, ‘আমি কি সামান্য অপকর্মকেও সমর্থন করতে পারি? টসের সময় রোহিত মুদ্রা একটু দূরে ফেলে, প্রতিপক্ষ অধিনায়কের নাগালের বাইরে। নিজের চাওয়া অনুযায়ী মুদ্রার পিঠ উঠেছে কি না, এটা যেন প্রতিপক্ষ অধিনায়ক সেখানে গিয়ে দেখতে না পারে।’
কিন্তু ভারতের খেলা এখন পর্যন্ত ১০ ম্যাচের টসের দিকে তাকালে দেখা যাবে, সেখানে রোহিতের জয়ের হার ৫০ শতাংশ। প্রথম পর্বের প্রথম দুই ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে টস হেরেছেন রোহিত। এরপর পাকিস্তানের বিপক্ষে টস জয়ের পর হেরেছেন বাংলাদেশের বিপক্ষে। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টস জয়ের পর আবার হেরেছেন টানা দুই ম্যাচে ইংল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। তবে সেমিফাইনালসহ সর্বশেষ ৩ ম্যাচে টস জিতেছেন রোহিত।