ভারত-নির্ভরতা কমাতে হবে: কৃষিমন্ত্রী


কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, পাট বীজের ক্ষেত্রে ভারতের ওপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে নিজেরদের পায়ে দাঁড়াতে। এছাড়া আমাদের ভবিষ্যৎ অন্ধকার। আমরা যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছি, তাতে অনেকের চক্ষুশূল হতে পারি। পাটটা আমাদের নিজের নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে না হলে ভবিষ্যতে সমস্যা দেখা দেবে। কৃষকরা যদি পাট উৎপাদন করতে না পারে আমাদের শিল্প বসে পড়বে। একটার সঙ্গে একটা অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িত। কৃষককে লাভবান করতে হবে।

বৃহস্পতিবার (৭ জানুয়ারি) কৃষি মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে উচ্চফলনশীল পাট বীজ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনে রোডম্যাপ বাস্তবায়ন বিষয়ে সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, কৃত্রিম ফাইবার তন্তু পরিবেশের ক্ষতি করছে, তাই পাটের অপার সম্ভাবনা সৃষ্টি করছে। আমাদের দুই মন্ত্রণালয়কে পাটের জোগান দিতে হবে। আপনারা (পাট মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা) জানিয়েছেন আমরা তিন বছরের মধ্যে পাটের বীজ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হবো। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি অর্থেরও কোনও সমস্যা হবে না। বীজ করতে এত বেশি টাকা দরকার হয় না।

তিনি আরও বলেন, আমরা বলতে চাই দুই মন্ত্রণালয় ও আরও যারা সংশ্লিষ্ট রয়েছেন সবাইকে নিয়ে আমরা একটি সমন্বিত একটি প্রকল্প করব। পাটের বীজের ক্ষেত্রে আমরা অন্যের ওপর নির্ভশীল হবো না। পাটকে আমরা বাংলাদেশের চাষিদের জন্য একটা লাভজনক ফসলে উন্নীত করব। বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের ক্ষেত্রে পাট আবার অসাধারণ ভূমিকা রাখবে। এছাড়া বীজ উৎপাদন থেকে শুরু করে পাট বাজারজাতকরণের মাধ্যমে কৃষকের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতে একটি সমন্বিত প্রকল্প নেয়া হবে বলেও মন্ত্রী জানিয়েছেন।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, কৃষি মন্ত্রণালয়, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় আজকে যৌথভাবে মিটিং করলাম। বেসরকারি সংস্থাসহ আরও যারা সংশ্লিষ্ট রয়েছেন তাদেরকেসহ একটি সমন্বিত কর্মসূচি নেব। পাট বীজ উৎপাদন এবং উৎপাদন করলেই হবে তা চাষির কাছে বিতরণ, কৃষকের উৎপাদিত পাট দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে বিক্রির নিশ্চয়তা দেয়াসহ ভ্যালু চেইনের প্রত্যেকটি জায়গা আমাদের অ্যাড্রেস করতে হবে। না হলে আমরা সফল হবো না।

সভায় বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া কৃষি সচিব মো. মেসবাহুল ইসলাম, বস্ত্র ও পাট সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, সাবেক কৃষি সচিব মো. নাসিরুজ্জামানসহ দুই মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও অধীন সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।