আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ভিসা নীতি ও নিষেধাজ্ঞা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে থামানো যাবে না।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ চলবে সংবিধান অনুযায়ী। কোন দেশের নিষেধাজ্ঞা মেনে নয়। একাত্তরে আমাদের হারাতে পারেনি, আজও নিষেধাজ্ঞা দিয়ে শেখ হাসিনাকে থামানো যাবে না। আমরা কারো নিষেধাজ্ঞা পরোয়া করি না।’ (বাসস)
ওবায়দুল কাদের আজ মঙ্গলবার বিকেলে কেরানীগঞ্জের জিনজিরায় ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত বিএনপি-জামাতের সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, নৈরাজ্য, অপরাজনীতি ও অব্যাহত দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে এ কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র, আর নিষেধাজ্ঞার ভয় দেখায় মির্জা ফখরুল। মির্জা ফখরুল কি এজেন্সি পেয়েছে? ওয়াশিংটনের নিষেধাজ্ঞায় ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের হত্যাযজ্ঞ বন্ধ হয়নি। তারা পারেনি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করতে। নিষেধাজ্ঞা কেউ শোনে না। কাজেই আমরা যারা রক্ত দিয়ে দেশ স্বাধীন করেছি, তাদের নিষেধাজ্ঞার ভয় দেখাবেন না।
বিদেশ সফর শেষে প্রধানমন্ত্রী দেশে ফিরলেই খেলা শুরু হয়ে যাবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ক্যাপ্টেন আসতেছেন। জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশন শেষে ক্যাপ্টেন এখন ওয়াশিংটনে আছেন। প্রস্তুত হয়ে যান, খেলা হবে।’
আওয়ামী লীগ কর্মীদের গায়ে আঘাত করলে এবার পাল্টা আঘাত করা হবে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, কোন অবস্থাতেই কোন ছাড় দেয়া হবে না। আওয়ামী লীগ কারো কাছে মাথা নত করবে না। বিএনপি কিভাবে ঢাকা দখল করে তা দেখার অপেক্ষায় রয়েছে আওয়ামী লীগ। লাল সবুজের পতাকা নিয়ে আওয়ামী লীগ সারাদেশ দখল করবে।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলের কান্না প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, কত মায়ের বুক খালি করে, কত জনকে স্বামী হারা, বাবা হারা করে বিএনপি এখন নিজেই কাঁদছে। ফখরুল সাহেব কাঁদতে কাঁদতে বাংলাদেশ কান্নার দরিয়া হয়ে যাবে তবুও আপনাদের ক্ষমা নেই। বাংলাদেশের মানুষ বিএনপিকে ক্ষমা করবে না।
ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বেনজীর আহমদ এমপির সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক পনিরুজ্জামান তরুনের সঞ্চালনায় সমাবেশে আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য কামরুল ইসলাম এমপি, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল-আলম হানিফ ও আ ফ ম বাহা উদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপি, ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডাঃ এনামুর রহমান এমপি, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালযয়ের প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
‘বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য দ্রুত বিদেশ না পাঠালে দায়-দায়িত্ব সব আওয়ামী লীগের’ বিএনপি নেতাদের বক্তব্যের জবাবে মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, দায় আওয়ামী লীগের কেন হবে? আপনারা যদি মনে করেন তার উন্নত চিকিৎসা দরকার তাহলে কেন আইনি প্রক্রিয়ায় যাচ্ছেন না? সকাল-বিকাল রাস্তায় বসে নাটক বন্ধ করেন। বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে আপনারা নাটকবাজি করছেন। যদি বেগম খালেদা জিয়ার কিছু হয়- তাহলে এর দায়-দায়িত্ব বিএনপির শীর্ষ নেতাদের বহন করতে হবে, অন্য কারো নয়।
বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, বিএনপি জামাত নতুন করে দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে। তারা সমাবেশের নামে বিভিন্ন জায়গায় সড়ক অবরোধ করে দেশের জনগণ ও দেশের সম্পদের উপর আঘাত আনছে। এরা পুলিশের গাড়িতে হামলা চালায়। নির্বাচন আসলেই এরা নানা তালবাহানা শুরু করে। কারণ তারা জানে তাদের জনসমর্থন নেই। জনগণ তাদের ভোট দিবে না। তাই তারা নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টায় লিপ্ত। এরা বিদেশি প্রভুদের কাছে নালিশ করে দেশের গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতাকে বিনষ্ট করতে চায়।