ভোটে সায়, বাইডেন সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হচ্ছেন সেই অ্যান্থনি


নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে অভিজ্ঞ কূটনীতিক অ্যান্থনি ব্লিংকেনের নিয়োগ নিশ্চিত করেছে যুক্তরাষ্ট্র সিনেট।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার মার্কিন কংগ্রেসের ১০০ সদস্যের উচ্চকক্ষের ভোটাভুটিত ব্লিংকেনের নিয়োগের পক্ষে ৭৮ শতাংশ ভোট পড়ে, বিপক্ষে পড়ে ২২ ভোট।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, অনুমোদন পাওয়ার একদিন পরই শপথ নিতে পারেন অ্যান্থনি। বাইডেন মনোনীত নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে সিনেটে তার অনুমোদনের জন্য সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রয়োজন ছিল।

অ্যান্থনি ব্লিংকেন এর আগে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা প্রশাসনে সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। জো বাইডেন তখন ছিলেন ক্ষমতাসীন দলের ভাইস প্রেসিডেন্ট। এছাড়াও বাইডেনের সঙ্গে প্রায় ২০ বছর ধরে কাজ করছেন ৫৮ বছর বয়সী অ্যান্থনি। কাজেই নতুন প্রেসিডেন্টের কাছে দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত ও আস্থাভাজন একজন হিসেবে পরিচিত তিনি।

গেল সপ্তাহে সিনেটের বৈদেশিক সম্পর্কবিষয়ক কমিটি অ্যান্থনির নিয়োগ নিশ্চিত করেছিল। সেখানে তিনি বৈদেশিক সম্পর্ক বিষয়ে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘আমেরিকা ফাস্ট’ নীতি ছাপিয়ে মিত্রদের সঙ্গে আরও গভীর সম্পর্ক সৃষ্টির অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছিলেন।

এদিকে নতুন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেয়ার অপেক্ষা থাকা অ্যান্থনি জানিয়েছেন, তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষতিগ্রস্ত কূটনীতি পুনরুজ্জীবিত করতে নিরলসভাবে কাজ করবেন। একইসঙ্গে রাশিয়া, চীন ও ইরানের দিক থেকে আসা চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলায় ঐক্যফ্রন্ট গড়ে তুলবেন।

সিনেটে অ্যান্থনির বিরুদ্ধে ভোট দেয়া ২২ সদস্যের সবাই রিপাবলিকান হলেও দলটির উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সিনেটর তার পক্ষেই ভোট দিয়েছেন।

১০০ সদস্যের সিনেটে ৫০-৫০ জন করে সমানসংখ্যক সিনেটর রয়েছে ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকানদের। কোনও প্রস্তাবে সমান সংখ্যক ভোট পড়লে সেক্ষেত্রে বাড়তি ভোট দেয়ার এখতিয়ার রাখেন ভাইস প্রেসিডেন্ট। বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস যেহেতু বাইডেনের দলের, তাই মার্কিন সিনেটও রয়েছে ডেমোক্র্যাটদের নিয়ন্ত্রণে।