আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ঘরে বসে বিএনপি আওয়ামী লীগের বিদায় ঘণ্টা বাজায় বলেই নৌকার ভোট বাড়ে আর বারবার সরকার গঠন করেন জননেত্রী শেখ হাসিনা। মানুষ এখন কুঁড়েঘরে থাকে না। দেশ বদলে গেছে। শেখ হাসিনা গরিব, অসহায় ও দুস্থ মানুষের জন্য ঘরবাড়ির ব্যবস্থা করেছেন।
আজ শনিবার দুপুরে পাবনা পুলিশ লাইনস মাঠে পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক প্রিন্স এমপির সঞ্চালনায় সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল রহিম লাল।
আওয়ামী লীগের নেতাদের উদ্দেশে তথ্যমন্ত্রী বলেন, সরকার ঘর দিচ্ছে, খাদ্য দিচ্ছে, বাসস্থান দিচ্ছে। এটা প্রচার করুন। ঘরে বসে থেকে নয়, উন্নয়নের কথা বলে শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগের সরকার আবার ক্ষমতায় আনতে প্রত্যেক ভোটারকে মানুষের দ্বারে দ্বারে যেতে হবে। ঘরে বসে স্লোগান নয়, নেতাকর্মী বা সমর্থক হিসেবে দলের প্রচারে বাইরে বিচরণ করতে হবে।
বিএনপি-জামায়াতের কোনো রাজনীতি নেই দাবি করে তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, করোনা মহামারিতে তারা (বিএনপি-জামায়াত) ছিল ঘরের মধ্যে ও জীবন বাঁচাতে। আওয়ামী লীগ সরকার তথা নেতাকর্মীরা অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। নিজেদের জীবনের তোয়াক্কা না করে তারা আর্তমানবতার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি জনগণের সঙ্গে নেই। খালেদা জিয়ার জীবনমরণ ও বাঁচার রাজনীতি নিয়ে ব্যস্ত রয়েছেন। খালেদা জিয়ার মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে এমন প্রচার চালান বিএনপি নেতারা। আর সুস্থ হয়ে খালেদা জিয়া বাসায় চলে যান।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, কানাডা বিএনপির এক নেতার অ্যাওয়ার্ড পেয়ে বিএনপি নেত্রী ধরা খেয়ে গেছেন। তাকে মানবতার জন্য অ্যাওয়ার্ড দিয়েছেন নাকি সামনের নির্বাচনে এটি একটি অপকৌশল মাত্র।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের ফিরিস্তি তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, এক সময় হ্যারিকেন আর কুপি বাতি জ্বালিয়ে পড়ালেখা করত ছাত্ররা। আর এখন আলোকিত পরিবেশে পড়ালেখা করে। এটাই দেশের পরিবর্তন। এভাবেই দেশের সার্বিক বিষয়ে পরিবর্তন এসেছে।