মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চি এবং ক্ষমতাসীন দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের আটক করার পর জরুরি অবস্থা জারির মধ্য দিয়ে দেশটির নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে সেনাবাহিনী। দেশটিতে চলমান এই পরিস্থিতি বাংলাদেশ ‘পর্যবেক্ষণ করছে’ বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন।
মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসির (এনএলডি) নেত্রী অং সান সু চি ও দেশটির প্রেসিডেন্ট উইন মিন্টসহ শাসক দলের শীষ বেশ কয়েকজন নেতাকে সে দেশের সেনাবাহিনী আটকের ঘটনায় এমন প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
সোমবার (১ ফেব্রুয়ারি) মিয়ানমারে চলমান পরিস্থিতি বিষয়ে সাংবাদিকদের বিস্তারিত জানানো হবে বলেও জানিয়েছেন ড. মোমেন।
এদিকে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মিয়ানমারের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে নিয়েছে দেশটির সেনাবাহিনী। মিয়ানমার সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রিত টেলিভিশনের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি ও বার্তা সংস্থা এপি এ খবর জানিয়েছে।
সোমবার ভোরের দিকে এনএলডি নেত্রী অং সান সু চি, মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট উইন মিন্ট এবং এনএলডির কয়েকজন শীষ নেতাকে দেশটির সেনাবাহিনী আটক করে। এরপরই সারা দেশে এ বছরের জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে সেনাবাহিনী।
বিসিবির খবরে বলা হচ্ছে, অভ্যুত্থানের পর মিয়ানমারের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, দেশটির এখন তাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। মিয়ানমার সেনাবাহিনী বলছে, তারা কমান্ডার-ইন-চিফ মিন অং হেলইংয়ের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে যাচ্ছে।
নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে মিয়ানমারে বেসামরিক সরকার এবং প্রভাবশালী সামরিক বাহিনীর মধ্যে কয়েকদিন ধরে দ্বন্দ্ব ও উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে এ সামরিক অভ্যুত্থান ঘটলো বলে প্রতিবেদনে জানিয়েছে বিবিসি।
সোমবার থেকে দেশটিতে নতুন পার্লামেন্টের অধিবেশন শুরুর কথা থাকলেও তার আগেই ক্ষমতাসীন দলের প্রধান নেত্রী ও দেশটির প্রেসিডেন্টসহ শীর্ষ নেতারা সেনাদের হাতে আটক হলেন।
এদিকে মিয়ানমারের রাজধানী নেপিডোর পাশাপাশি দেশটির প্রধান শহর প্রাক্তন রাজধানী ইয়াঙ্গনে সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। সব ব্যাংক সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে। গোটা দেশে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।