ঢাকা শহরের দমবন্ধ করা ট্র্যাফিক জ্যাম থেকে বাঁচতে এবং কর্মক্ষেত্রে ও স্কুলে যাওয়ার জন্য নতুন উপায় খুঁজতে শুরু করেছে বাঙালিরা। ঢাকার লেকফ্রন্ট হাতিরঝিল, যানজট কমানোর একটি পরিবহন মাধ্যম হিসাবে রূপান্তরিত হয়েছে।সূত্র: A24 News Agency
বর্তমানে এটি ১৫টি নৌযান সহ একটি ওয়াটার ট্যাক্সি সেবা প্রদান করছে এবং ক্রমেই একটি জনপ্রিয় পরিবহনের মাধ্যম হয়ে উঠছে কারণ এটি সাশ্রয়ী, দ্রুত ও শান্তিপূর্ণ। ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে চালু হওয়ার পর থেকে, হাতিরঝিল ওয়াটার ট্যাক্সি সেবা ঢাকাবাসীদের যাতায়াত এবং আনন্দ ভ্রমন দুটির ক্রমবর্ধমানভাবে ব্যবহার হয়ে আসছে।
এফডিসি জেটির কাউন্টার মাস্টার জানান, “অফিস চলাকালীন সময়ে এবং সকাল ও বিকেলে ভিড়ের সময় আমরা ব্যস্ত থাকি।ঘুরে বেরানর জন্য এটি ঢাকা শহরের একমাত্র লেক। শুক্রবার এবং ছুটির দিনগুলিতে মানুষ লেকে নৌকা ভ্রমন করতে আসে।হ্যাপি আক্তার নামের এক মেডিকেল ছাত্রী বলেন, “আমি ওয়াটার ট্যাক্সি ব্যবহার করি কারণ এটি দূষণমুক্ত এবং আমি কাছাকাছি থাকি তাই ট্র্যাফিকের সময় এটি ব্যবহার করে আসা আমার পক্ষে আরামদায়ক।
প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, পানি এবং লেক মিলিয়ে চমৎকার দৃশ্য। এটা সত্যিই সুন্দর। আরেক ছাত্র নাজমুল হাসান সবুজ জানান যান্ত্রিক কোলাহল ও দূষণ থেকে মুক্তি দেয় এ সেবা, “আমি ওয়াটার ট্যাক্সি ব্যবহার করি কারণ এটি শহরের দূষণ থেকে মুক্তি দেয় এবং আমার সময় বাঁচায়। আমি বাস ব্যবহার করলে আমার অনেক সময় লাগবে। তার উপর, ওয়াটার ট্যাক্সি ব্যবহার করে যাতায়াত করলে আমি প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারি।”
এ সেবাটি রাজধানীর পরিবহন খাতে একটি উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন এনেছে এবং লেকের আশেপাশে বসবাসকারী মানুষের জীবনে ব্যাপক প্রভাব ফেলছে। হাতিঝিল প্রকল্পের প্রধান প্রকৌশলী জনাব রায়হানুল ফেরদৌস বলেন, “আমরা যখন প্রথম হাতিরঝিল প্রকল্প চালু করি, তখন আমরা যানজট এড়াতে ওয়াটার ট্যাক্সির কথা ভাবিনি।
কিন্তু প্রকল্পটি চালু করার পর, আমরা গুলশান-এফডিসি মোড়, এফডিসি-রামপুরা, রামপুরা-পুলিশ প্লাজা রুট থেকে ওয়াটার ট্যাক্সি দেয়ার কথা ভাবতে শুরু করি, যা ঐ সব এলাকার বাসিন্দাদের জন্য ভালো হবে।
তাই আমরা ২০১৬ সালে ওয়াটার ট্যাক্সি চালু করেছিলাম। দৈনিক প্রায় ৬০০০-৭০০০ যাত্রী সেবাটি ব্যবহার করছেন এবং তারা সকলেই স্বল্প সময়ে, সর্বোচ্ছ ৫-১০ মিনিটের মধ্যে তাদের গন্তব্যে পৌঁছে যায়৷”
ভিডিওটি দেখতে ক্লিক করুনঃ https://youtu.be/KI60sO5O6LQ