যেকোনও সংকট মোকাবিলায় দক্ষতা অর্জনে নৌবাহিনীর প্রতি আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর


যেকোনও সংকট মোকাবিলায় দক্ষতা অর্জনে নৌবাহিনীর সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেছেন, ‘দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে সশস্ত্র বাহিনীকে গড়ে তোলা হচ্ছে।’

বুধবার (৩০ ডিসেম্বর) সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে চট্টগ্রামের বিএনএ’তে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর মিডশিপম্যান-২০১৮ আলফা এবং ডিইও ব্রাভো ব্যাচের শীতকালীন রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে যা যা করা দরকার তাই করছে সরকার।’

দেশের উন্নয়নে বর্তমান সরকারের উদ্যোগ তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘মুজিব জন্মশতবর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না, এটাই সরকারের লক্ষ্য।’

তিনি বলেন, ‘২০০৯ সালে আমরা যখন সরকার গঠন করি তখনই আমরা উদ্যোগ নিই। একদিকে প্রতিরক্ষা নীতিমালা রাখি, আর সময়োপযোগী করে ‘ফোর্সেস গোল ২০৩০’ প্রণয়ন করি। সমুদ্রসীমায় আমাদের যে অধিকার রয়েছে সে বিষয়ে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা করি।’

সরকারপ্রধান বলেন, ‘আমাদের দুটি প্রতিবেশী দেশ ভারত ও মিয়ানমারের বিরুদ্ধে যদিও আমরা মামলা করি, কিন্তু তাদের সঙ্গে আমরা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখেই মামলা করি এবং বিজয় অর্জন করি। বিশাল সমুদ্রসীমা আমরা অর্জন করতে সক্ষম হই।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের নৌবাহিনীকে আরও শক্তিশালী করতে আমরা এরইমধ্যে ২৭টি নতুন যুদ্ধজাহাজ সংযোগজন করেছি। দুটি অত্যাধুনিক সাবমেরিন সংযোজন করেছি। আমাদের নৌবাহিনীকে আমরা সম্পূর্ণ ত্রিমাত্রিক বাহিনীতে রূপান্তরিত করতে সক্ষম হয়েছি।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের সবসময় লক্ষ্য- আমদের দেশটা স্বাধীন দেশ, বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে চলবে। আমরা আমাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সব ধরনের প্রস্তুতি নেবো। কারও সঙ্গে যুদ্ধ নয়, সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়- এই পররাষ্ট্রনীতি নিয়েই আমরা চলবো। আমরা শান্তি চাই, যুদ্ধ চাই না।’

‘কিন্তু আমাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় যেন সব ধরনের প্রস্তুতি থাকে, সেভাবেই আমাদের প্রতিরক্ষা বাহিনীকে গড়ে তুলছি’- বলেন শেখ হাসিনা।