রাজশাহীতে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সপ্তাহ উদ্বোধন


স্টাফ রিপোর্টার:  রাজশাহীতে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সপ্তাহ-২০২২ উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) দুপুরে রাজশাহী ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কার্যালয় চত্বরে বিভাগীয় কমিশনার জি এস এম জাফরউল্লাহ্, এনডিসি বেলুন ও ফেস্টুন উড়িয়ে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সপ্তাহ-২০২২ এর উদ্বোধন করেন। এবারের প্রতিপাদ্যÑ ‘দুর্ঘটনা-দুর্যোগ হ্রাস করি, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ি’।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিভাগীয় কমিশনার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতিমধ্যে বাংলাদেশের প্রতিটি উপজেলায় ফায়ার সার্ভিস স্টেশন স্থাপন করেছেন। ২০১০ সালে সারা বাংলাদেশে ফায়ার সার্ভিস স্টেশন ছিল ২০৪টি, এখন তা দাঁড়িয়েছে ৪৯০টি। আগামী ছয় মাসের মধ্যে এর সংখ্যা দাঁড়াবে ৫৬৬টিতে।

ডুবুরি এবং ফায়ার ফাইটারদের প্যারেড পরিদর্শনকরে সন্তোষ জানিয়ে বিভাগীয় কমিশনার বলেন, আমাদের ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সে একদিকে যেমন জনবল বেড়েছে, সেইসঙ্গে বেড়েছে সক্ষমতা। অন্যদিকে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স হয়েছে আরও আধুনিক। বিদেশ থেকে ভালো যন্ত্রাংশ আনা হয়েছে, যা দিয়ে আমরা ২২তলা বিল্ডিং (৬৮ মিটার) পর্যন্ত দুর্ঘটনা মোকাবিলা করতে পারব। নতুন যন্ত্রাংশের কারণে এ প্রতিষ্ঠান আরও ভালো সেবা দিতে পারবে।

নিমতলী, সীতাকুন্ড ও রানা প্লাজার মর্মান্তিক ঘটনা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই ট্রাজেডিগুলোতে সাধারণ জনগণকেও এগিয়ে আসতে হতো, তাহলে হয়তো আমরা এত প্রাণ হারাতাম না। বিপদের সময় ছবি না তুলে যাতায়াতের রাস্তা-ঘাট ফাঁকা রাখতে হয়, যাতে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা দ্রুত গন্তব্যস্থানে পৌঁছাতে পারে। ফায়ার ফাইটারদেরকে সঠিক তথ্য দিলে আমরা দুর্ঘটনামুক্ত ও নিরাপদ জীবন পাব।

শহরের মধ্যে জমি ও জলাশয় ভরাট করে বড় বড় বিল্ডিং হওয়ার ফলে পানির সমস্যা হচ্ছে উল্লেখ করে জি এস এম জাফরউল্লাহ্ বলেন, আমাদের সচেতনতা বাড়াতে হবে। যে কারণে দুর্ঘটনার সময় ফায়ার ফাইটারদের পানির অভাবে দুর্ঘটনা মোকাবিলায় সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়, সেদিকে সবাইকে নজর দিতে হবে। দুর্ঘটনার সময় ৯৯৯এ কল করলে ফায়ার সার্ভিস সংক্রান্ত সমস্যায় খুব তাড়াতাড়ি সমাধান পাওয়া যায় বলে এ সময় তিনি জানান।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স রাজশাহী বিভাগের উপপরিচালক মো: ওহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি মোঃ আব্দুল বাতেন। এ সময় বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দপ্তর ও সংস্থার উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, ব্যবসায়ী প্রতিনিধি ও ফায়ার সার্ভিসের প্রশিক্ষিত কমিউনিটি ভলান্টিয়াররা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, এ উপলক্ষ্যে ১৬ নভেম্বর হাজী মুহম্মদ মুহসীন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অগ্নি প্রতিরোধ ও নির্বাপণ, জরুরি উদ্ধার ও প্রাথমিক চিকিৎসা বিষয়ক দুর্যোগ সচেতনতামূলক মহড়া অনুষ্ঠিত হবে। ১৭ নভেম্বর এ উপলক্ষ্যে সমাপনী ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক পরিবেশনা অনুষ্ঠিত হবে। সমাপনী অনুষ্ঠানে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ফায়ার ফাইটার, প্রশিক্ষিত ভলান্টিয়ার, বিএনসিসি, রোভার স্কাউট, রেড ক্রিসেন্টের সদস্যগণের সমন্বয়ে শহর এলাকায় শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হবে।