নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহীর পবা উপজেলার কাটাখালী পৌরসভায় মেয়র পদে আওয়ামী লীগ এবং পুঠিয়ায় বিএনপির প্রার্থী বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। সোমবার পবা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারি রিটানিং অফিসার শহীদুল ইসলাম ও পুঠিয়া উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তারা ও সহকারি রিটানিং অফিসার মোঃ জয়নুল আবেদীন নির্বাচনে জয়ী হওয়ার বিষয় নিশ্চিত করেছে।
এদের মধ্যে কাটাখালীতে মেয়র পদে বিপুল ভোট পেয়েছেন পৌর আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক আব্বাস আলী। তিনি ভোট পেয়েছেন ১৬ হাজার ১৬৫ ভোট। আর পুঠিয়ায় বিএনপির প্রার্থী আল মামুন খান ৫ হাজার ৯২০ ভোট।
পুঠিয়ায় পৌরসভায় বিএনপির প্রার্থী আল মামুন খান ৫ হজার ৯২০ ভোট পেয়ে ৭৬০ ভোটের ব্যবধানে বেসরকারি ভাবে বিজয়ী হয়েছেন। আর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ প্রার্থী বর্তমন মেয়র রবিউল ইসলাম পেয়েছেন ৫ হাজার ১৬০ ভোট।
পবা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারি রিটানিং অফিসার শহীদুল ইসলাম জানান, কাটাখালী পৌরসভায় ১৬ হাজার ১৬৫ ভোট পেয়ে বেসরকারি ভাবে বিজীয় হয়েছেন আব্বাস আলী। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী জামায়াত নেতা অধ্যাপক মাজিদুর রহমান পেয়েছেন ৮৫৬ ভোট। এছাড়াও বিএনপি প্রার্থী অধ্যাপক সিরাজুল হক ৭৩, স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু সামা ৪৭ ও খোকনুজ্জামান মাসুদ ৭২ ভোট পেয়েছে।
পুঠিয়া ও কাটাখালী পৌরসভায় প্রথমবারের মতো ভোট হয়েছে ইভিএমে। সোমবার সকাল ৮ থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ হয়। ভোটগ্রহণ চলাকালে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
কাটাখালী থানার অফিসার ইনচার্জ জিল্লুর রহমান জানান, সোমবার সন্ধ্যায় নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর পৌরসভার আট নম্বর ওয়ার্ডের চর শ্যামপুর এলাকার ইউসুফ মেমোরিয়াল কেজি স্কুলের ভোটকেন্দ্র থেকে দুর্বৃত্তরা ইভিএম ছিনতাই করে নিয়ে যায়। এ সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বাধা দিলে তাদের সঙ্গে সংঘাতে জড়ান হামলাকারীরা। তাদের ইটের আঘাতে দুই পুলিশ আহত হন। তাদের প্রাথমিকভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
পরে রাত সাড়ে রাত ৯টার দিকে পুলিশ পাশের আজিজুলের মোড় এলাকা থেকে এ ইভিএম উদ্ধার করে। এ ঘটনায় রাতেই ভোটকেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার অভিষেক বসাক বাদি হয়ে কাটাখালি থানায় ১৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ১৫০ থেকে ২০০ জনের বিরুদ্ধে কাটাখালী থানায় একটি মামলা করেছেন। পুলিশ আসামিদের গ্রেপ্তারের অভিযান অব্যহত আছে।