রাজশাহী প্রতিনিধি: ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস ও বিজয়ের সুর্বণজয়ন্তী যথাযথ মর্যাদায় উদযাপন করেছে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন। বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় নগরভবন চত্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। প্রথমে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটনে পক্ষে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন কাউন্সিলরবৃন্দ। এরপর কর্মকর্তা-কর্মচারী ও কর্মচারী ইউনিয়নের পক্ষ থেকে পৃথকভাবে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
এরআগে আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন রাসিকের প্যানেল মেয়র-১ ও ১২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সরিফুল ইসলাম বাবু, কর্মকর্তাদের পক্ষে প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আবু সালেহ মোঃ নুর-ঈ-সাঈদ ও কর্মচারীদের পক্ষে কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আজমীর আহম্মেদ মামুন। কর্মসূচির শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় চার নেতা ও মহান মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। পরে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। দোয়া পরিচালনা করেন সোনাদিঘী জামে মসজিদের পেশ ইমাম ক্বারী মোঃ মামুন-উর-রশীদ। এছাড়া বাদ যোহর নগরভবন মসজিদে জাতির শান্তি ও অগ্রগতি কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সরিফুল ইসলাম বাবু বক্তব্যে বলেন, বিজয়ের ৫০ বছর পূর্ণ হলো আজ। মহান মুক্তিযুদ্ধের বিজয় অর্জনের সুবর্ণজয়ন্তীর ঐতিহাসিক মাহেন্দ্রক্ষণ। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে দীর্ঘ সংগ্রামের পরিপূর্ণতায় ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধ শেষে ১৯৭১ সালের আজকের দিনে পাকিস্তনি হানাদার বাহিনীর আতœসমর্পণের মধ্য দিয়ে আমরা পায় স্বাধীন বাংলাদেশ। নানা চড়াই উৎরায় পেরিয়ে দেশ আজ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে।
তিনি বলেন, জাতির পিতা কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় এখন। দেশকে দূর্দান্ত গতিতে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। বিশে^র দরবারে এ দেশকে একটি সুখী সমৃদ্ধশালী দেশে রূপান্তরের লক্ষ্যে অবিরাম কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজগুলো সম্পন্নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচেছন। রাজশাহী মহানগরীর উন্নয়নে সিটি মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটনের নেতৃত্বে রাজশাহী মহানগরী আজ দেশে রোল মডেল নগরীতে পরিণত হয়েছে। সবুজ, পরিচ্ছন্ন, বসবাসযোগ্য নগরী রূপে গড়ে তুলতে নানা পরিকল্পনা গ্রহণ ও তা বাস্তবায়ন করছে।
কর্মসূচিতে সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. এবিএম শরীফ উদ্দিন, প্যানেল মেয়র-২ ও ১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রজব আলী, প্যানেল মেয়র-৩ তাহেরা বেগম, ৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ নুরুজ্জামান, ৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রাসেল জামান, ১১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রবিউল ইসলাম, ১৩নং ওয়ার্ড আব্দুল মমিন, ১৪নং আনোয়ার হোসেন, ১৫নং আব্দুস সোবহান, ১৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শহিদুল ইসলাম, ১৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর তৌহিদুল হক সুমন, ২০নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রবিউল ইসলাম, ২১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নিযাম উল আযীম, ২২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল হামিদ, ২৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর তরিকুল আলম পল্টু, ২৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আনোয়ারুল আমিন আযব, ২৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আশরাফুল হাসান বাচ্চু, ২৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাসুদ রানা, সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর আয়েশা খাতুন, শিরিন আরা খাতুন, মাজেদা বেগম, উম্মে সালমা ও নাদিরা বেগম, সিটি কর্পোরেশনের সচিব মোঃ মশিউর রহমান, প্রধান প্রকৌশলী শরিফুল ইসলাম, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী নূর ইসলাম তুষার, প্রধান স্বাস্থ্য কমকর্তা ডা. এফ এএম আঞ্জুমান আরা বেগম, এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ ইমরানুল হক, বাজেট কাম হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম খান, বিভিন্ন শাখার প্রধানগণ ও রাসিক কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মোঃ দুলাল শেখ অন্যান্য কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে সঞ্চালনা করেন রাসিকের জনসংযোগ কর্মকর্তা মোস্তাফিজ মিশু।