রাবি’র উর্দূ বিভাগের ফল বিপর্যয়ে সমাধান না পেয়ে আমরণ অনশণে শিক্ষার্থীরা


রাবি প্রতিনিধি : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) উর্দু বিভাগের ২০১৯-২০ সেশনের দ্বিতীয় সেমিস্টার পরিক্ষায় ফল বিপর্যয়ের সমাধান না পেয়ে আমরণ অনশনে বসেছেন উর্দু বিভাগের শিক্ষার্থীরা।  দ্রুত সমাধান না পেলে অনশন ভাঙ্গবেন না বলে জানান অনশনরত শিক্ষার্থীরা। সোমবার (০৫ ডিসেম্বর) বেলা ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ নজরুল ইসলাম প্রশাসনিক ভবনের সামনে অনশনে বসেন শিক্ষার্থীরা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ১৩ এপ্রিল প্রথম বর্ষের ক্লাস শুরু হয়ে শেষ হয় ২১ এপ্রিল। দীর্ঘ চার মাস পর গত ২৫ আগষ্ট ফলাফল প্রকাশিত হলে সেখানে বিভিন্ন অসঙ্গতি দেখতে পান শিক্ষার্থীরা। ৪ জন সিজিপিএ তিন এর উপরে, আর কিছু সংখ্যক দুই এর উপরে। ১০৪ নং কোর্সে ১৪ জন ফেইল ওর ৮ জন ইয়ার ড্রপ হয়। এমন অসংগতি দেখে বিভিন্ন সময় আন্দোলন করেন তারা। এর আগেও বিভাগে মূল ফটকে তালা দেওয়া, অবস্থান কর্মসূচী পালন করা। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সর্বশেষ ৩০ নভেম্বর ফলাফল প্রকাশ করবে বলে তাদেরকে আশ্বাস দিয়েছিলেন। নির্ধারিত সময়ে ফলাফল প্রকাশিত না হওয়ায় আমরণ অনশনে বসেছেন তারা।
ফল বিপর্যয়ে ভুক্তভোগী উর্দু বিভাগের এক শিক্ষার্থী জাহিদ হাসান বলেন, শিক্ষকদের অভ্যন্তরীণ ও রাজনৈতিক কোন্দলের প্রভাবে শিক্ষার্থীদের সাথে ইচ্ছে করেই এমন ফল বিপর্যয়ের ঘটনা ঘটানো হয়েছে। ফলাফল বিপর্যয়ের অভিযোগ শিকার করে পুনঃমূল্যায়নের আশ্বাস দিয়েছিলেন শিক্ষকরা। পুনঃমূল্যায়নের ফলাফল প্রকাশ করার বিভিন্ন সময় নির্ধারণ করলেও তা প্রকাশ করেননি। সর্বশেষ ৩০ নভেম্বর প্রকাশ করার কথা থাকলেও প্রকাশ না করে কালক্ষেপণ করছেন।
ফল বিপর্যয়ে ভুক্তভোগী উর্দু বিভাগের এক শিক্ষার্থী সুরাইয়া আক্তার বলেন, শিক্ষকরা আমাদের ক্লাসেই হুমকি দিতেন, তারা বলতেন, তোমরা কিভাবে ভালো রেজাল্ট করো আমি দেখে নিব, উপর তলা থেকে তোমাদের নিচ তলায় নামিয়ে দিব। আমরা একটা ফরেন ভাষা উর্দু বিভাগে পড়ি তাই আমাদের অনেক সমস্যা থাকতে পারে। অতিদ্রুত আমাদের ফলাফল প্রকাশ না হলে আমরা অনশন ভাঙ্গবো না।
আরেক শিক্ষার্থী নুসরাত জাহান বলেন, আমাদের একটাই দাবি আমাদের যে ফলাফল বিপর্যয় ঘটেছে তা পুনর্মূল্যায়ন করে দ্রুত সময়ের মধ্যে ফলাফল প্রকাশিত করতে হবে। যতক্ষণ না আমাদের ফলাফল প্রকাশিত হচ্ছে ততক্ষণ অবধি আমরা অনশন চালিয়ে যাব।
আমরণ অনশনের বিষয়ে জানতে চাইলে  উর্দু বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক আতাউর রহমান বলেন, শিক্ষার্থীরা আমরণ অনশনের বসেছে শুনেই আমাদের বিভাগের শিক্ষকদের ডেকেছি। আমরা কিছুক্ষণের মধ্যেই যাবো শিক্ষার্থীদের কাছে যাবো এবং দাবি দাওয়া গুলো শুনে তা সমাধান করার চেষ্টা করবো।