রাবি প্রতিনিধি: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে বঙ্গবন্ধু কর্নার উদ্বোধন করা হয়েছে। রোববার (২৭ আগস্ট ) সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ ইসমাইল হোসেন সিরাজী ভবনের ৩য় তলায় রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সেমিনার লাইব্রেরীতে বঙ্গবন্ধু কর্নারটি উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার। বঙ্গবন্ধু কর্নারটিতে বঙ্গবন্ধু, তার পরিবার ও মুক্তিযুদ্ধ সংশ্লিষ্ট প্রায় চারশত বই সংযোজিত করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে বঙ্গবন্ধুর নিজের লেখা কারাগারের রোজনামচা, অসমাপ্ত আত্মজীবনী।
এছাড়াও রয়েছে বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক সুলতান মাহমুদের লেখা মুক্তিযুদ্ধের ৭১, নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধু, বঙ্গবন্ধুর কিশোরবেলা,মুক্তিযুদ্ধ প্রস্তুতি থেকে বিজয়সহ দেশের খ্যাতিমান লেখদের বই । অধ্যাপক সুলতান মাহমুদের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাবি উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার বলেন, বঙ্গবন্ধু নিজেই ছিল একটি প্রতিষ্ঠান। বঙ্গবন্ধুর মনোভুবনটা আবিষ্কার করতে হবে। তবেই বঙ্গবন্ধু কে যথার্থ ভাবে মূল্যায়ন করা হবে। আর সেটা রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের দায়িত্বটা একটু বেশি।
তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ একটি একে অপরের জমজ শব্দ । বঙ্গবন্ধু আমাদের কাছে আদর্শ হয়ে আছে ।সেই আদর্শিক জায়গাটা কে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। বঙ্গবন্ধু এই ভৌগোলিক বাস্তুসংস্থানের মানুষ। তিনি এখান থেকে সবকিছু নিয়েছে কাজেই তার জীবন, আদর্শ বা রাজনৈতিক দর্শন সবকিছুই গুরুত্বপূর্ণ । তিনি শুধু রাজনীতিবিদই না! একজন বহু গুনের মানুষ ছিলেন। বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দর্শনই ছিল ভালোবাসা। ভালোবাসার উপর কোন দর্শন হয়না। সব দর্শনই ভালোবাসা দিয়ে প্রভাবিত।
অনুষ্ঠানের মূখ্য আলোচক ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ স্টাডিজ’র বঙ্গবন্ধু অধ্যাপক সনৎকুমার সাহা বলেন, বঙ্গবন্ধু যে মূল্যবোধে নিজেকে বিকশিত করেছে। সেই মূল্যবোধটাকে তিনি বাংলার মাটিতে উন্মেষ করেছে তা আমরা বঙ্গবন্ধুর মাঝে দেখেছি। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের বিকাশ থেকে বাংলাদেশের উদ্ভব। মানুষের মধ্যে যে বিভাজন তার প্রতিবাদ করতে করতে বাংলাদেশ তার চুড়ান্ত বিজয় লাভ করেছে। বঙ্গবন্ধু তার রাজনৈতিক জীবনে বিশেষ করে পাকিস্তান সৃষ্টির পরে তিনি সবসময় অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে। সেই অন্যায়টা মানবিক অন্যায়।
তিনি মানবিক হতে গিয়ে বাঁধা পেয়েছেন। ২৫ মার্চ পর তিনি পাকিস্তানের ভিতরে মানবিক সমাধান খোঁজার চেষ্টা করেছেন। সেখানে তিনি একবিন্দু ছাড় দেন নাই। বাঁধা এসেছিল কায়েমি স্বার্থের পক্ষ থেকে তার মানে এই না যে পাকিস্তানের সব মানুষ তার বিরুদ্ধে ছিলেন। তিনি কায়েমি স্বার্থের বিরুদ্ধে মানুষের নায্য পাওনার জন্য লড়াই করেছেন। বাংলার মানুষের অধিকার নিশ্চিত করার জন্য অবিসংবাদিত নেতৃত্ব দিয়েছেন।
বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ফারহাত তাসনীমের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন অধ্যাপক এস এম এক্রাম উল্লাহ। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার, বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মো. হুমায়ুন কবির ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডীন অধ্যাপক মো. ইলিয়াস হোসেন। বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।