রৌমারীর দিগন্ত জুড়ে হুলদে রংয়ে রঙিন আলোয় আলোকিত সরিষার মাঠ


মাজহারুল ইসলাম, রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি: কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলায় এবার চলতি রবি মৌসুমে রেকর্ড পরিমাণ জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছে। এ মৌসুমে সরিষা লাভজনক আবাদ হওয়ায় এই আবাদে মনোযোগ দিয়েছেন সরিষা চাষ করেছে এলাকার কৃষকরা।

এ ছাড়া আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় চাষিরা ভালো ফলন পাওয়ার আশা করছেন সরিষা চাষি কৃষকরা । উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে , এবার চলতি মৌসুমে রৌমারী উপজেলায় ৬ হাজার হেক্টর জমিতে সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিলো। লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও সরিষার চাষ হয়েছে ৬ হাজার ২৫০ হেক্টর জমিতে। টরি-৭ জাতের সরিষা বেশি চাষ করা হয়েছে।

এ ছাড়াও বারি-৯, বারি-১৪, ১৫ জাতের সরিষাসহ বিভিন্ন জাতের সরিষা চাষ করতে সক্ষম হয়েছে তারা।  সরেজমিন ঘুরে মাঠে মাঠে দেখা গেছে শুধুই হলুদের সমারোহ। আর মনের আনন্দে গুন গুন করছে মৌমাছি। সরিষার ফুল থেকে মধু সংগ্রহ করতে ব্যস্ত মৌমাছির ঝাঁক।আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে সরিষার বাম্পার ফলনের আশা করছেন রৌমারীর কৃষকরা।

যাদুরচর ইউনিয়নের সিমান্তঘেষা আলগার চর এলাকার কৃষক রবিউল ইসলাম বলেন, বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে ৬২ শতকের বিঘা ৪ বিঘা জমিতে আগাম জাতের সরিষার আবাদ করা হয়েছে আশা করি ফলনও খবুই ভালো পাবো।

সরিষা চাষি সাখাওয়াত হোসেন ছুক্কু বলেন, ১৪ বিঘা জমিতে আগাম জাতের সরিষা চাষ করা হয়েছে, সরিষা থেকে অর্জিত অর্থ দিয়ে বোরো ধানের খরচ চালানো সহজ হয়।সরিষা তুলেই ওই জমিতে ইরি-বোরো ধান লাগাবেন তারা। সরিষার ফসল থেকে উপার্জিত আয় বোরো ধান উৎপাদনে সহায়ক হবে বলে দাবি করেন এঅঞ্চলের কৃষকরা।

তারা জানায় সরিষা আবাদে সেচ, কীটনাশক ও নিড়ানি কিছুই লাগে না। একেবারই খরচ কম ও স্বল্প সময়ে এ ফসল ঘরে তোলা যায়। বর্তমান বাজারে দামও অনেক বেশি এটি একটা লাভজনক ফসল এমনটাই জানা গেছে কৃষকদের কাছ থেকে।

রৌমারী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কাইয়ুম চৌধুরী জানান, চলতি মৌসুমে উপজেলায় রেকর্ড পরিমাণ জমিতে সরিষার চাষ করা হয়েছে। তিনি বলেন, এ অঞ্চলে এবার বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে কৃষকরা সরিষা চাষের প্রতি ঝুঁকে পড়েছেন।

তবে আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে সরিষার আবাদ থেকে কৃষকরা বাড়তি মুনাফা পারবেন বলে আশা করছি।