মাজহারুল ইসলাম,রৌমারী কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি: কৃষি নির্ভর জনপদ কুড়িগ্রামের রৌমারী ও রাজিবপর উপজেলায় ভাদ্র মাসেও বন্যা না হওয়ায় উচু নিচু সকল জমিতেই সেচের মাধ্যমে বেশী খরচের পরও রোপা আমন চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। দুই উপজেলার সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে কৃষকদের রোপা আমন চাষে ব্যস্ততার বাস্তব চিত্র।
যেসব নিম্নাঞ্চল গুলিতে পানিতে রোপা আমন চাষ করতেন কৃষকরা, সেসব জমিতে কিন্তু সেচ দিয়ে রোপন করতে হচ্ছে ধান। অপরদিকে যেসব জমিতে ইতিপূর্বে রোপা আমন চাষ করার কল্পনাও করেননি তারা সেসব জমিতে এবার আমন চাষ করতে দেখা যায়। বন্যা না হওয়ার কারনে এসব জমিতে রোপা আমন রোপন করছেন কৃষকরা।
রৌমারী উপজেলার সকল এলাকা ঘুরে দেখা গেছে প্রতিটি জমিতে কৃষকদের পাশাপাশি কৃষানিরাও সহযোগিতায় রয়েছেন। তবে বন্যার পানি না থাকায় প্রতিটি জমিতে শ্যালো মিশিনের মাধ্যমে সেচ দিয়ে হালচাষ করছেন কৃষকরা।
এদিকে দুই উপজেলায় গরুর হাল চোখের নজরে পরে নাই। গরুর হাল বিলুপ্তি হওয়ার পথে। এখন শুধু ডিজিটাল যুগের যন্ত্রপাতির যন্ত্র দ্বারাই ফসলি জমি চাষ করতে দেখা যায়।
দুই উপজেলার কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে এবার বৃষ্টি না হওয়ায় রোপা আমন চাষে সেচের মাধ্যমে বেশী খরচ পরে যাচ্ছে বলে জানায়। তারপরেও আবহাওয়া অনুকুলে ভালো থাকলে তাহলেও পুষিয়ে উঠা সম্ভব বলে জানায় তারা।
রৌমারী উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা সাহাদাত হোসেন জানান এবার বন্যার পানি না আসায় ৫৮০ হেক্টর জমিতে বীজতোলা করা হয়েছে। ৫৮০ হেক্টর জমির চারা দিয়ে প্রায় ৯ হাজার হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের রোপা আমন চাষ করতে পারবেন চাষিরা।
রাজিবপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন কর্মকর্তা খায়রুল ইসলাম জানিয়েছেন, এ উপজেলায় প্রায় ৪ হাজার হেক্টর জমিতে আমন চাষ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।