রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি: কুড়িগ্রামের রৌমারী সিজি জামান সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ে ছাত্র/ছাত্রী ভর্তি ও সেশন ফির নামে অতিরিক্ত ফি আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। একই ভাবে পুনঃ ভর্তির ক্ষেত্রেও অতিরিক্ত ফি নিচ্ছে বিদ্যালয়টি। শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের ভর্তি নীতিমালার তোয়াক্কা না করে চলতি শিক্ষাবর্ষে ৬ ষষ্ট শ্রেণী থেকে ১০ ম শ্রেণী পর্যন্ত ভর্তির ক্ষেত্রে সেশন ফি’র নাম করে বানিজ্য করছে বিদ্যালয়টি।
অভিভাবকদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ১ জানুয়ারী বুধবার বিদ্যালয়ে সরেজমিনে খোজ নিয়ে জানা যায়, ৬ষ্ট শ্রেণীতে ভর্তির জন্য ছাত্র/ছাত্রীদের কাছ থেকে ১ হাজার ৬৭৬ টাকা। পুনঃভর্তির ক্ষেত্রে সেশন ফির নামে ৭ম ও ৮ম শ্রেণীতে ক্লাস ভিত্তিক পর্যায়ক্রমে ১ হাজার ৬৯০ টাকা এবং ৯ম ও ১০ ম শ্রেণীতে পর্যায়ক্রমে ১ হাজার ৭২৬ টাকা আদায় করা হচ্ছে। এতে উক্ত বিদ্যালয়ে প্রায় ১ হাজার ২ শত ছাত্র/ছাত্রী রয়েছে। তাতে প্রায় ২১ লক্ষ টাকা উত্তোলনে অভিযোগ উঠেছে।
৬ষ্ট শ্রেণীতে নতুন ভর্তির জন্য আসা শিক্ষার্থীরা বলেন, অনলাইন করে ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমে ১ হাজার ৬৭৬ টাকা দিয়ে ভর্তি হয়েছি।
৭ম ও ৮ম শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা বলেন, ক্লাস উত্তির্ণ ভর্তিতে সেশন ফির নামে ১ হাজার ৬৯০ টাকা দেয়া হয়েছে। ৯ম ও ১০ শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা বলেন, ক্লাস উত্তির্ণ ভর্তিতে সেশন ফির নামে ১ হাজার ৭২৬ টাকা জমা দিয়ে রশিদ নিয়েছি।
অভিভাবকরা জানান, বাচ্চাদের ৬ষ্ট শ্রেণীতে ভর্তির জন্য ১ হাজার ৬৭৬ টাকা এবং পুনঃ ভর্তি ও সেশন ফির নামে ১হাজার ৬৯০ টাকা থেকে ১ হাজার ৭২৬ টাকা ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমে দিতে হচ্ছে ওই বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে। যা অনৈতিক। আমরা বাধ্য হচ্ছি দিতে। তারা আরও বলেন, আমরা দরিদ্র এলাকার মানুষ হয়ে দিন মজুরী খেটে এবং হাওলাতের মাধ্যমে এ টাকা দিতে হচ্ছে। তবে নীতিমালায় জানা গেছে মফস্বল উপজেলার স্কুলে সেশন ফিসহ ভর্তি ফি ৫০০ টাকার বেশী হবে ন। উপজেলার আরও অনেক স্কুল আছে তারা এতো টাকা নিচ্ছে না।
এ ব্যাপারে সিজি জামান সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে গেলে প্রধান শিক্ষক আবু হোরায়রাকে পাওয়া যায়নি। তবে জানা গেছে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হওয়ায় তিনি ৫ আগষ্টে সরকার পতনের পর থেকে গাঁ ঢাকা দিয়ে রয়েছেন।
ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক গিয়াস উদ্দিন বলেন, সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী সেশন ফি নেয়া হচ্ছে। বিদ্যালয়ের ব্যাংক একাউন্টে এ টাকা জমা হচ্ছে।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাজী আনিসুল ইসলাম জানান, ভর্তি ও পুনঃ ভর্তি এবং সেশন ফির নামে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ পেলে তদন্ত পুর্বক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
জেলা প্রশাসক নুসরাত সুলতানার সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলার চেষ্টা করলে পাওয়া যায় নি।