লালপুরে নারী চিকিৎসককে ধর্ষণ চেষ্টা হাসপাতালের পরিচালক গ্রেফতার 


নাটোর প্রতিনিধি: নাটোরের লালপুরে মাদক দিয়ে ফাঁসিয়ে নারী চিকিৎসককে হেনস্তা ও ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে একটি বেসরকারী হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক কমপ্লেক্সের পরিচালক একাব্বর হোসেন শান্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গতকাল সোমবার ডিবি ও থানা পুলিশের যৌথ অভিযানে নাটোর শহর থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত একাব্বর হোসেন শান্ত উপজেলার জোতদৈবকী গ্রামের হাসেম আলীর ছেলে। এ ঘটনায় হাসপাতাল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

মামলার অভিযোগ সুত্র, ফার্মেসী মালিক জিয়াউর রহমান এবং স্থানীয়দের কাছে জানা যায়, লালপুরের মানবকল্যাণ মডেল হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক কমপ্লেক্সে কর্মরত ছিলেন ওই নারী চিকিৎসক। গত ৩ অক্টোবর সন্ধ্যায় ঢাকা জোনের ডিবি পুলিশের পরিচয়ে এক ব্যক্তি ও ডায়াগনস্টিক কমপ্লেক্সের পরিচালক একাব্বর হোসেন শান্ত তল্লাশির নামে তাঁর ভ্যানিটি ব্যাগে হেরোইন জাতীয় বস্তু রেখে দেন।

এরপর মাদক মামলার ভয় দেখিয়ে তাঁর কাছে ৫ লাখ টাকা দাবি করা হয়। কিন্তু টাকা দিতে রাজি না হলে শান্ত তাঁকে রাতভর একটি কক্ষে আটকে রেখে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। বিষয়টি অন্যদের জানানোর চেষ্টা করলে ঘটনার সব সিসিটিভি ফুটেজ এবং অন্যান্য প্রমাণ সরিয়ে ফেলে শান্ত। এ ঘটনায় শান্তকে সহযোগিতা করে স্টাফ রহিমা বেগম ও কল্পনা বেগম। পরে গত ৯ অক্টোবর থানায় মামলা দায়ের করেন ওই নারী চিকিৎসক। মামলার প্রেক্ষিতে শান্তকে গতকাল সোমবার ডিবি ও থানা পুলিশের যৌথ অভিযানে নাটোর শহর থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ শাহাবুদ্দিন জানান, রেজিষ্ট্রেশন আপডেট না পাওয়ায় হসপিটালটি বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উজ্জ্বল হোসেন জানান, নারী চিকিৎসক হেনস্তা ও ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে একাব্বর হোসেন শান্ত , তাঁর স্ত্রী রহিমা বেগম ও বালিতিতা রামকৃষ্ণপুর গ্রামের আলমগীর হোসেনের স্ত্রী কল্পনা বেগমের বিরুদ্ধে লালপুর থানায় মামলা করা হয়। মামলা দায়েরের পর থেকে অভিযুক্তরা আত্মগোপনে চলে যায়। সোমবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ডিবি ও থানার পুলিশের যৌথ অভিযানে নাটোর শহর থেকে শান্তকে গ্রেফতার করা হয়। তাকে মঙ্গলবার আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।