যখন ষোলকলা যুবতী হয়ে উঠেননি, সেই কিশোরী বয়সেই বহু যুবকের ক্র্যাশ ছিলেন ঢাকাই নায়িকা আঁচল। সেই বয়সেই অনেক প্রেমের প্রস্তাব পেতেন তিনি, এমনকি তাকে বিয়ের প্রস্তাবও দেয়া হতো। এ নিয়ে নিজের মধ্যে বেশ লজ্জা কাজ করতো নায়িকার।
এখন তিনি পুরোদস্তুর নায়িকা। এখনও নিয়মিতই প্রেমের প্রস্তাব পান আঁচল। তবে সেসব প্রস্তাবে সাড়া না দিয়ে বরং কড়া ভাষায় ‘না’ বলে দেন। আর বিয়ে, স্বামী-সংসার নিয়ে এখনই না ভেবে সিনেমা নিয়ে আরও ব্যস্ত হতে চান তিনি।
কদিন আগেই একটি বিয়ের ছবি পোস্ট করে আলোচনায় আসেন আঁচল। সেই ছবিতে তাকে বধূবেশে দেখা যায়। এরপরই ভক্তদের মধ্যে সংশয় জাগে, তবে কি গোপনে বিয়ে করে ফেলেছেন এই সুন্দরী! আর যদি না করে থাকেন তবে বিয়ে নিয়ে কী ভাবছেন তিনি? কবে বাজবে তার বিয়ের সানাই? এসব প্রশ্নও উঁকি মারছে ভক্তদের মনে।
গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে এমন প্রশ্নে হাসতে হাসতে আঁচল বলেন, ‘এখনই প্রেম-বিয়ের মধ্যে নেই। বিয়ে করলেও ২০২৫ সালের পর। পরিবারকেও তেমনটিই জানিয়েছি। শৈশবে অনেক প্রেমের প্রস্তাব পেতাম। তখন খুব লজ্জা লাগতো আমার। এখন তো বড় হয়েছি। সরাসরি কেউ প্রেমের প্রস্তাব দেয়ার সুযোগ পায় না।’
অন্য অনেক তারকার মতো এ অভিনেত্রীকেও মাঝেমধ্যেই সোস্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন পোস্টে আপত্তিকর ও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যের শিকার হতে হয়।
এ প্রসঙ্গে আঁচল বলেন, ‘মানুষ যে কেন এমন হয়, জানি না। এসব নিয়ে আমি কাউকে পাল্টা কিছু বলি না। কারণ আমি কিছু বললে সেটা অনেক দূর এগোবে। তাই কমেন্ট ডিলিট করে আইডি ব্লক করে দিই, যাতে বারবার বাজে মন্তব্য করার সুযোগ না পায়।’
করোনাকালে ঢালিউড নায়িকাদের মধ্যে সর্বাধিক ছবিতে কাজ করা আঁচল জানান, খারাপ গল্পের ছবিতে কাজ করার চেয়ে না করাই ভালো। এজন্যই তিনি বিগত বছরগুলোতে একটু ধৈর্য ধরেছিলেন।
‘আয়না’, ‘রাগী’, ‘কাজের ছেলে’, ‘চিৎকার’, ‘করপোরেট’ ও ‘যমজ ভুতের গল্প’সহ আরও বেশ কিছু ছবির কাজ নিয়ে দারুণ ব্যস্ত আঁচল এখন আর করোনাকে ভয় পাচ্ছেন না।
নায়িকা কথায়- ‘রোমান্টিক দৃশ্যে নায়কের কাছে যেতেই হয়। খল চরিত্রের সঙ্গে মারামারিও করতে হয়। এসব ছাড়া তো বাণিজ্যিক ছবি হয় না।’
সম্প্রতি গাজীপুরে ‘করপোরেট’ ছবির শুটিং চলছিল। সেখানে একটি গানের দৃশ্যে শুটিং করতে করতে রাত হয়ে যায়। শুটিং শেষ করে হোটেলে ফিরে তখন তিনি কম্বলের নিচে। হঠাৎ ইউনিট থেকে ফোন করে তাকে জানানো হয়, একটি শট এখনও বাকি আছে। এই ভরা শীতের রাতে ঠান্ডা পানিতে নামতে হবে।
জবাবে আঁচল বলেন, ‘আমি সাফ বলে দিলাম, নামবো না। তখন ভোর চারটা, খুব ঠান্ডা। পরে দেখি সবাই অসহায়ের মতো আমার অপেক্ষায় বসে আছেন। আমি চিৎকার দিয়ে পানিতে নামার ঘোষণা দিয়েছিলাম। টানা ৩০ মিনিট ঠান্ডা পানিতে ভিজেছিলাম।’
সেই অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে নায়িকা আরও বলেন, ‘পানিতে আমার আগে প্রস্তুতি হিসেবে কাঠে আগুন ধরানো হয়েছিল। ঠান্ডা কাটানোর জন্য পুরো শরীরে শর্ষের তেল মালিশ করে নিয়েছিলাম। ভোরের কনকনে শীতে সারা গায়ে শর্ষের তেল মেখে পানিতে নেমেছিলাম।’