শিল্পীদের শিল্পকর্ম প্রদর্শন ও নিরাপদে বিক্রির সুযোগ দিচ্ছে মঙ্গোলিয়ার এনএফটি প্ল্যাটফর্ম


২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে, মঙ্গোলিয়ান প্রকৌশলীরা মঙ্গোলিয়ান শিল্পীদের বিশ্বের সামনে আনতে জনসাধারণের কাছে মঙ্গোলিয়ান নন-ফাঞ্জিবল টোকেন (এনএফটি) প্ল্যাটফর্মটি চালু করেছিলেন। আজ তারা ৬ হাজার এর বেশি এনএফটি রিলিজ করেছে।তারা “স্যান্ডবক্স মেটাভার্স” সহ অনেক অনলাইন উন্নয়ন প্রকল্প শুরু করেছে, যেখানে মঙ্গোলিয়ান এনএফটি ২০২১ সালের নভেম্বরে একটি মঙ্গোলিয়ান সংস্কৃতি, ইতিহাস এবং শিল্প কেন্দ্র তৈরি করার জন্য জমি কিনে। সূত্র: A24 News Agency

এনএফটি-এর প্রতিষ্ঠাতা বাইটঃ বি. গ্যাবিট জানান, “মঙ্গোলিয়ান এনএফটি প্রকল্পটি ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে চালু করা হয়েছিল। আমাদের মূল লক্ষ্য হল মঙ্গোলিয়ার শিল্পীদের কাছে, তাদের কাজ আমাদের প্ল্যাটফর্মে আপলোড করতে এবং বিশ্বের যে কারও কাছে বিক্রি করার অনুমতি দেওয়া। কিন্তু মেটা উলানবাতার তৈরি করে, আমরা বাস্তব জীবনের মতোই সেখানে আমাদের জাদুঘর, আর্ট শো এবং প্রদর্শনী আয়োজন করতে পারব এবং মেটাভার্সে ৩০০ মিলিয়ন মানুষের কাছে পৌঁছতে পারব, শুধুমাত্র মঙ্গোলিয়াতেই নয় বরং সারা বিশ্বে৷

এটি শিল্পীদের উলানবাতারের মেটা-সিটি পরিদর্শন করতে এবং মঙ্গোলিয়ান সাগান সার এবং মঙ্গোলিয়ান নাদাম দেখতে অনুমতি দেবে।” প্রকল্পটি নিয়ে টাভান বোগড ক্যাপিটাল সিকিউরিটিজ কোম্পানির ট্রেডিং এবং রিসার্চ বিভাগের প্রধান, ই. মাইকেল জানান, “বিশ্বের প্রধান শক্তি, দেশ এবং ব্যবসায়ীরা মেটা-ওয়ার্ল্ডে প্রচুর বিনিয়োগ করছে। অবশ্যই, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় আছে।

উপরন্তু, চীন একটি মেটা-মার্কেট বিকাশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যদিও এটি ক্রিপ্টো বাজারকে সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ করেছে। চীনের সবচেয়ে বড় প্রযুক্তি জায়ান্ট টেনসেন্ট এবং আলিবাবা থেকে শুরু করে প্রচুর বিনিয়োগ করছে। এটি অনুমান করা হয় যে ভবিষ্যতে এই বাজার ৮ ট্রিলিয়ন ডলার হবে। সুতরাং, এটা স্পষ্ট যে এটি ভবিষ্যতে একটি খুব বড় বিশ্ব হবে, তাই আমি মনে করি মঙ্গোলিয়ার জন্য দেরি হওয়ার আগেই নিজস্ব উলানবাতার তৈরি করা একটি বড় অর্জন।“ এছাড়া, মঙ্গোলিয়ান এনএফটি বিজয়ীদের জন্য ৩৫ হাজার ডলার পুরষ্কার সহ মেটা ওয়ার্ল্ডে একটি ‘মেটা উলানবাতার’ শহর গড়ে তুলতে প্রতিযোগিতা ঘোষণা করেছে৷

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে, প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয় এবং মেটা উলানবাতার চালু করা হয়। মোট ১১৩ টি দল প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে এবং তাতে ‘সেভেন পিক্সেল’ দলকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। তাদের কাজের লক্ষ্য মঙ্গোলিয়াকে বিশ্বের কাছে তুলে ধরার পাশাপাশি তরুণদের ইতিহাস ও সংস্কৃতির সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়া। সেক্সটসাগানবোগড নামের একজন বলেন, “শিল্পীদের জন্য মঙ্গোলিয়ান এনএফটি এর সবচেয়ে বড় সুযোগ হল, প্রথমত, মঙ্গোলিয়ান এনএফটি এর বিপুল সংখ্যক ব্যবহারকারী৷ একবার প্রতিষ্ঠিত হলে, প্ল্যাটফর্মটি নতুন হবে না।

কজন শিল্পী তার কাজ বিক্রি করতে চাইলে চাহিদা থাকবে। চাহিদা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জিনিস। দ্বিতীয়ত, এটি আর্থিকভাবে সহায়ক হবে। উপরন্তু সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল যে মেধা সম্পত্তি একটি ব্লকচেইন সিস্টেমে সুরক্ষিত। তাই শিল্পীদের তাদের আইনজীবী থাকতে হবে না। যদি আমার গান কারাওকে বা কোথাও অনুমতি ছাড়া চলে যায়, সেটা একটা সমস্যা।

সুতরাং, এটি বোঝা যায় যে এই সমস্যাটি সম্পূর্ণরূপে এনএফটি -এর মাধ্যমে সমাধান করা হয়েছে। এদিকে, প্রতিযোগিতায় বিজয়ী সেভেন পিক্সেল দলের নেতা খ সেনগুউন বলনে যে, মানুষের উৎপত্তি ইতিহাস দিয়ে শুরু হয়। তাই আমরা আমাদের ইতিহাস ভুলব না। আমরা ইতিহাস এবং আধুনিকতাকে একত্রিত করার প্রয়াসে আমাদের কাজটি তৈরি করেছি।”

ভিডিও দেখতে ক্লিক করুনঃ https://youtu.be/0bLyfvBHd7E