সরকারের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন সমন্বয় করেন সচিবরা : তথ্যমন্ত্রী


তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, রাজনৈতিক সরকারের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে সমন্বয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সচিবদের। জেলায় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে সমন্বয় করেই কাজ করছেন তাঁরা।

বৃহস্পতিবার মন্ত্রী রাজধানীর মিন্টু রোডে তাঁর সরকারি বাসভবন থেকে অনলাইনে চট্টগ্রাম জেলা সমন্বয় সভার বৈঠকে সভাপতির বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের এ সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন।

চট্টগ্রাম-৭ আসনের সংসদ সদস্য ড. হাছান মাহমুদের সভাপতিত্বে এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দীনের সঞ্চালনায় এতে আরও বক্তব্য দেন জাতীয় সংসদের হুইপ সামশুল হক চৌধুরী, চট্টগ্রামের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী, সাবেক মন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার মো. কামরুল হাসান, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার সালেহ মো. তানভীর, চট্টগ্রামের ডেপুটি কমিশনার মোহাম্মদ মমিনুর রহমান প্রমুখ। সভায় করোনাভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবিলাসহ চট্টগ্রামের সার্বিক উন্নয়নে বিভিন্ন গণমুখী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে বিভিন্ন জেলার সমন্বয়ের দায়িত্ব সচিবদের দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সরকারি কার্যক্রম সমন্বয়ের দায়িত্ব সচিবরাই পালন করেন এবং সে হিসেবেই সচিবদের মূলত বিভিন্ন জেলায় সরকারি কার্যক্রম সমন্বয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। গণতান্ত্রিক দেশের সরকার একটি রাজনৈতিক সরকার, এই রাজনৈতিক সরকারের দেশ পরিচালনা করার ক্ষেত্রে, করোনা নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষেত্রে, করোনা মোকাবিলা করার ক্ষেত্রে, ত্রাণ তৎপরতা চালানোর ক্ষেত্রে এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে অর্থাৎ কোভিড উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সরকারের সিদ্ধান্তগুলো সমন্বয় করার জন্যই সচিবদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।’

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, ‘সচিবরা যেসব জেলায় সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করছেন তারা সেখানে সেই জেলার মন্ত্রী, সংসদ সদস্য এবং অন্যান্য জনপ্রতিনিধি যারা আছেন তাদের সঙ্গে আলোচনা করেই সমন্বয়টা করছেন।’ সুতরাং, এখানে কাউকে বড় বা খাটো করা হয়নি উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, ‘সচিবরাই সরকারি কাজে সবসময় সমন্বয় করেন। এখানেও সমন্বয় করার জন্যই তাদেরকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।’

মেগা প্রকল্পগুলোর অর্থ কমিয়ে করোনার টিকা সংগ্রহের কাজে লাগানোর জন্য বিএনপিনেতা ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের প্রস্তাবের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপির মতো জোড়াতালি দিয়ে আওয়ামী লীগ দেশ চালায় না। টিকা ক্রয়ের জন্য কোনো প্রকল্পের বরাদ্দ কমানোর প্রয়োজন নেই।’

তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, “বিএনপি নিজেরা দেশ পরিচালনায় ব্যর্থ ছিলেন, সেজন্য তারা ‘এদিক থেকে কাট করে ওদিক’- এভাবে জোড়াতালি দিয়ে দেশ চালিয়েছে। সেই জোড়াতালি দিয়ে আমাদের এখন দেশ চালাতে হবে না। প্রধানমন্ত্রী সফলভাবেই দেশ পরিচালনা করছেন। কোনো জায়গা থেকে কমিয়ে কোনোকিছু করতে হবে না। করোনা মোকাবিলার জন্য বিশেষত করোনার টিকা কেনার জন্য পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ রাখা হয়েছে।”

দরিদ্র জনগোষ্ঠীর প্রতি নজর দেওয়া নিয়ে বিএনপির মহাসচিবের পরামর্শের বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সরকার প্রথম দফা লকডাউনের সময় সাত কোটির বেশি মানুষকে সহায়তা দিয়েছে। এরই মধ্যে আরও কয়েক কোটি মানুষকে সহায়তা দেওয়া হয়েছে। এই সহায়তা চলমান রয়েছে। একইসঙ্গে আমাদের দলের পক্ষ থেকেও পর্যাপ্ত পরিমাণ সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।’