সাংবিধানিক স্বীকৃতির দাবিতে রাবিতে আদিবাসী শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ 


রাবি প্রতিনিধি: নবম দশম শ্রেণির পাঠ্যবই থেকে আদিবাসী গ্রাফিতি বাদ দেওয়া, ঢাকায় শান্তি সমাবেশে পুলিশি হামলার প্রতিবাদে ও তাদের সাংবিধানিক স্বীকৃতির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) আদিবাসী শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (২০ জানুয়ারি) বেলা ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বুদ্ধিজীবী চত্ত্বরে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের আয়জনে এ বিক্ষোভ সমাবেশ করেন তারা।
এ সময় “জ্বালো রে জ্বালো আগুন জ্বালো”,“লড়াই হবে সমান তালে, পাহাড় কিংবা সমতলে”,“আমরা নই উপজাতি, আমরা সবাই বাংলাদেশি”,“তোমার আমার পরিচয়, আদিবাসী আদিবাসী, “সন্ত্রাসীদের ঠিকানা এই বাংলায় হবে না”, “উগ্রবাদের ঠিকানা এই বাংলায় হবে না” এমনসব শ্লোগান দেন শিক্ষার্থীরা।
বিক্ষোভ সমাবেশে আদিবাসী ছাত্র পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক প্রিন্স হেমন্ত টুডু বলেন, এনসিটিবির যে চেয়ারম্যান এই আদিবাসী গ্রাফিতি উঠিয়ে দিয়েছে তার অনতিবিলম্বে পদত্যাগের দাবি জানাই। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের শান্তিপূর্ণ ঘেরাও মিছিলে জলকামান টিয়ারশেল ও গুলিবর্ষণ এর তীব্র নিন্দা জানাই।
 পুলিশ আদিবাসীদের বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয় তাদের গুলি করে মারে এর বিরুদ্ধে রাষ্ট্র কোন পদক্ষেপ নেয়নি।
বিক্ষোভ সমাবেশে ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী রেজা বলেন, আদিবাসী সাথে যে সমস্ত কথা উঠে আসে উপজাতি সংখ্যালঘু ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী প্রতিটি শব্দই রাজনৈতিক।শত-শত  বছর ধরে এ ভূখন্ডে আমরা বাস করছি চাইলেই কেউ অস্বীকার করতে পারিনা। জুলাই বিপ্লবের চেতনায় আমি কাওকে বাদ দিতে চাইনা। জুলাই বিপ্লবের চেতনাকে ভোলানোর জন্য  বাদ দেবার জন্য  কিছু মানুষ ষড়যন্ত্র করছে।
পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সদস্য বিজয় চাকমা বলেন, যখনই আদিবাসীদের অধিকার আদায় নিয়ে কোনো আন্দোলন হয়েছে কোনো দাবি উঠেছে তখনই একদল মানুষের মধ্যে বিষফোড়া উন্মেচিত হয় এবং কোনো না কোনোভাবে এ আন্দোলন ভূলন্ঠিত করার চেষ্টা করে তারা মনে করে আদিবাসীরা এ ভূখন্ড থেকে আলাদা হয়ে যাবে, সমতলের আদীবাসিরা আন্দোলন করবে।জুলাই বিপ্লবের চেতনাকে নসাৎ করার জন্য স্টুডেন্ট ফর সভেরিয়েন্টি এনসিটিবি ভবন ঘেরাও করে গ্রাফিতি বাতিল করে এর দায় এনসিটিবি ও স্টুডেন্ট ফর সভেরিয়েন্টিকে এর দায় তাদের নিতে হবে।
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয় বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক সহ উপস্থিত ছিলেন প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী।