সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের দাবি ‘অযৌক্তিক’: কাদের


দেশের ৪২ জন বিশিষ্ট ব্যক্তির সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠনের দাবি ‘অযৌক্তিক’ বলে জানিয়েছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, ‘এমন দাবি করার মানে রাষ্ট্রের অভিভাবক, সংবিধানের রক্ষক রাষ্ট্রপতিকে বিব্রত করা।’

সোমবার (১ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে তার দফতরে ব্রিফিংকালে তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘যারা মনে করেন নির্বাচন কমিশনের কারণে দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে গেছে, তাদের এ অভিযোগ নির্বাচন নিয়ে অতীতের অভিজ্ঞতায় তা প্রমাণ করে না।’

তিনি বলেন, ‘কোনও অভিযোগ ব্যক্তি বিশেষের বিরুদ্ধে থাকতেই পারে,ব্যক্তি বিশেষ অনিয়ম করলে দুদক তদন্ত করতে পারে কিন্তু এ নিয়ে গোটা নির্বাচন ব্যবস্থাকে দায়ি করা ‘অপ্রত্যাশিত ও অযৌক্তিক’।’

সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘প্রজাতন্ত্রের কোনও ব্যক্তি অনিয়ম দুর্নীতির ঊর্ধ্বে নয়। কোনও অনিয়মের বিরুদ্ধে তদন্ত করার দায়িত্ব স্বাধীন দুর্নীতি দমন কমিশনের আছে। নির্বাচন কমিশন চাপমুক্ত থেকে নিজস্ব আইনগত ক্ষমতা ও কর্তৃত্ব অনুযায়ী অনিয়মের বিষয়ে তদন্ত করতে পারে।’

চলমান স্থানীয় সরকার নির্বাচন বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এ সকল নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থীদের বিষয়ে আওয়ামী লীগের অবস্থান কঠোর। অনেক স্থানে বিদ্রোহীরা সরে দাঁড়ালেও আবার কোথাও কোথাও তাদের প্রতিদ্বন্দ্বিতায় দেখা যাচ্ছে। স্থানীয় সরকার নির্বাচন বিষয়ক দলীয় মনোনয়ন বোর্ডের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে কেউ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলে তা দলের শৃঙ্খলা লঙ্ঘন বলে ধরে নেয়া হবে।’

যারা দলের সিদ্ধান্ত মানবেন তাদের ভবিষ্যতে বিভিন্নভাবে মূল্যায়ণ করা হবে বলেও জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।

তিনি বলেন, ‘পাশাপাশি যারা দলের সিদ্ধান্ত মানবেন না, তারা ভবিষ্যতে মনোনয়নতো পাবেনই না, উপরন্তু দলের কোন সম্মানজনক পদও পাবে না। দলের মনোনীত প্রার্থীদের বিজয়ে ঐক্যবদ্ধ ভাবে সকলকে কাজ করতে হবে।’

দলের বিষয়ে কারও কোন অভিযোগ থাকলে, তা অভ্যন্তরীণ ফোরামে আলোচনা করার নির্দেশ দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘দলীয় ফোরামের বাইরে গিয়ে কোন ধরনের বক্তব্য, বিবৃতি শৃঙ্খলাবিরোধী কাজ হিসেবে বিবেচিত হবে। দলের ইমেজ নষ্ট হয় এমন বক্তব্য থেকে বিরত থাকতে হবে। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা দলীয় শৃঙ্খলা এবং ঐক্যের বিষয়ে অধিকতর কঠোর অবস্থানে রয়েছেন।’