করোনার কারণে গেল বছর দেওয়া হয়নি ব্যালন ডি’অরের পুরস্কার। তবে, বিরতি দিয়ে আবার ফিরছে এই পুরস্কার। এবারের বর্ষসেরা ফুটবলের এই তালিকায় প্রত্যাশিতভাবে জায়গা পেয়েছেন লিওনেল মেসি। তাঁর সঙ্গে আছেন এই সময়ের তারকা—ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো, কিলিয়ান এমবাপ্পে, নেইমার ও রবার্তো লেভানদোভস্কি।
২০২১ সালের এই পুরস্কারের জন্য ছয় ধাপে ৩০ জনের সংক্ষিপ্ত তালিকা প্রকাশ করেছে ফ্রান্স ফুটবল ম্যাগাজিন। গত শুক্রবার রাতে এই তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। প্রতিটি ধাপে পাঁচ জন মনোনিত খেলোয়াড়দের নাম জানানো হয়। তৃতীয় ধাপে আসে সম্ভাবনায় সবচেয়ে এগিয়ে থাকা মেসির নাম। মূলত দেশকে কোপা আমেরিকা জিতিয়ে তিনিই এগিয়ে আছেন।
অবশ্য এগিয়ে থাকলেও বর্ষসেরা ফুটবলারের লড়াইয়ে নিজেকে সেরা ভাবছেন না মেসি। পিএসজি তারকার মতে, ২০২১ সালের বর্ষসেরা খেলোয়াড় হওয়ার যোগ্য তাঁরই দুই ক্লাব সতীর্থ কিলিয়ান এমবাপ্পে ও নেইমার। নিজে ভোট দেওয়ার সুযোগ থাকলে তাঁদেরই দিতেন রেকর্ড ছয়বারের বর্ষসেরা ফুটবলার।
নিয়ম অনুযায়ী, সাংবাদিকদের ভোটে নির্ধারণ করা হয় বিজয়ী। আগামী ২৯ নভেম্বর প্যারিসে এবারের ব্যালন ডি’অর জয়ীর নাম ঘোষণা করা হবে।
তবে পরিসংখ্যান বলছে সবার চেয়ে এগিয়ে আছেন মেসি। যদি তাই হয়, তাহলে এবার সপ্তম ব্যালন ডি’অর ট্রফি জয়ের মালিক হবেন তিনি।
তবে মেসি নিজের পক্ষে নন, বরং সতীর্থদের পক্ষেই কথা বললেন। মার্কার প্রতিবেদন অনুসারে এক সাক্ষাৎকারে মেসি বলেন, ‘আমি হলে, আমার দলের দুই জনকে ভোট দেব—কিলিয়ান ও নেই (নেইমার)। এরপর লেভানদোভস্কি, সে দারুণ একটি বছর কাটিয়েছে। (করিম) বেনজেমাও আছে।’
মেসি আরো বলেন, ‘আমার মনে হয় না, এবারের ব্যালন ডি’অর জয়ের জন্য আমি ফেভারিট। ফলাফল প্রকাশের আগে এসব বিষয় নিয়ে কথা বলা আমি কখনই পছন্দ করি না। আরেকটি জিততে পারলে দারুণ হবে। এরই মধ্যে একমাত্র খেলোয়াড় হিসেবে ছয়টি জেতাই অসাধারণ ব্যাপার। সাতবার জেতা অবিশ্বাস্য হবে। গত গ্রীষ্মে আমি একটি ট্রফি জিতেছি (কোপা আমেরিকা), যা আগে জিততে পারিনি। যদি আমি আরেকটি ব্যালন ডি’অর জিততে পারি তাহলে খুব খুশি হব। কিন্তু এটা নিয়ে আমি ভাবছি না।’