সুযোগ পেলে যেকোনও নেতাকে আস্তাকুঁড়ে ছুড়বে বিএনপি: কাদের


বিএনপিতে মুক্তিযোদ্ধাদের কোণঠাসা করতে একটি কুচক্রী মহল সক্রিয় রয়েছে বলে দাবি করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘সুযোগ পেলে দলের যেকোনও নেতাকে আস্তাকুঁড়ে ছুড়বে বিএনপি।’

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর অব. হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রমকে দলীয়ভাবে শোকজ করার বিষয়ে ইঙ্গিত করে ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘সুযোগ পেলেই বিএনপি তাদের যে কোনও নেতাকে আস্তাকুঁড়ে ছুঁড়ে ফেলতে পারে। বিএনপিতে মুক্তিযোদ্ধাদের কোণঠাসা করে রাখার জন্য একটি কুচক্রী মহল সক্রিয় রয়েছে।’

রবিবার (২০ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে নিজ দফতরে ব্রিফিংকালে তিনি এসব কথা বলেন।

সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি এখন মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী শক্তির মুখপাত্রে পরিণত হয়েছে। বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও একজন খেতাবধারী মুক্তিযোদ্ধাকে সত্য বলার অপরাধে শোকজ করা দেশের মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি অবমাননাকর।’

বিএনপি মুখে গণতন্ত্রের কথা বললেও আপাদমস্তক অগণতান্ত্রিক বলে মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।

তিনি বলেন, ‘যাদের দলের অভ্যন্তরে গণতন্ত্রের চর্চা নেই; তারা রাষ্ট্র পরিচালনায় গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ বজায় রাখতে পারবে বলে জনগণ বিশ্বাস করে না।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘নেতিবাচক রাজনীতির কারণে বিএনপি এখন জনবিচ্ছিন্ন এবং তাদের নেতৃত্ব বহুধাবিভক্ত। মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারীদের সাথে গোপনসখ্যতা রাখায় বিএনপি ক্রমশ জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে।’

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর অব. হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রমকে ইঙ্গিত করা দলের ভেতরের মহলটি বিএনপিকে মুক্তিযুদ্ধ বিরোধিতাকারীদের এজেন্ডা বাস্তবায়নে সহযোগিতা করেছে বলেও মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, ‘এর মাধ্যমেই স্পষ্ট হয়েছে, দলীয়ভাবে তারা ভাস্কর্যের অবমাননাসহ দেশে অস্থিতিশীলতা তৈরি করছে এবং অপকর্মের ইন্ধন জোগাচ্ছে।’

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান যখন দলের বিভিন্ন পর্যায়ে কমিটি এবং মনোনয়ন বাণিজ্যের অভিযোগ আনে তখন সেই দলের কর্মী ও জনগণের কাছে দলীয় নেতৃত্বের কোনও গ্রহণযোগ্যতা থাকে না বলে দাবি করেন কাদের।

তিনি বলেন, ‘শাক দিয়ে যেমন মাছ ঢাকা যায় না, তেমনই বিএনপিও তাদের অপরাজনীতি এখন আর ঢেকে রাখতে পারছে না।’