স্কলারশিপে শাস্ত্রীয় নৃত্যে উচ্চশিক্ষার্থে ভারতের দিল্লী যাচ্ছেন বগুড়ার শ্রেয়া


বগুড়া প্রতিনিধি: জাতীয় শিশু পুরস্কার প্রতিযোগিতায় কত্থক নৃত্যে রৌপ্য পদক, বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর প্রতিযোগিতায় লোক ও সৃজনশীল নৃত্যে জাতীয় পর্যায়ে প্রথম ও তৃতীয় পুরস্কার এবং জাতীয় শাপলা কুঁড়ি প্রতিযোগিতায় উচ্চাঙ্গ নৃত্যে তৃতীয় ও সৃজনশীল নৃত্যে সেরা দশ নৃত্যশিল্পীর কৃতিত্ব অর্জন ও পুরস্কার গ্রহন করে বগুড়ার সংস্কৃতিক অঙ্গনে বেশ শক্ত অবস্থান গেঁড়ে বসেছে উদীয়মান নৃত্য শিল্পী প্রতীতি রায় শ্রেয়া।

ইতোমধ্যে প্রতীতি রায় শ্রেয়া ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর কালচারাল রিলেশনস (আইসিসিআর) এর অধীনে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে ‘শাস্ত্রীয় নৃত্য’ বিষয়ে ফুল ফান্ডেড স্কলারশিপ পেয়েছেন। সে ভারতের নিউ দিল্লীর “কথক কেন্দ্র” তে আন্ডারগ্রাজুয়েশনের জন্য মনোনীত হয়েছেন। এজন্য শ্রেয়া ২৩ আগস্ট বুধবার ভারতের দিল্লীর উদ্দেশ্যে যাত্রা করবেন বলে পারিবারিক সুত্রে জানা গেছে।

এ জন্য প্রতীতি রায় শ্রেয়ার গত ২৫জুন ইন্ডিয়ান হাইকমিশন, ঢাকায় তার লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা হয়। এর প্রেক্ষিতে গত ৩১ জুলাই ভারত সরকার ফুল ফান্ডেড এই বৃত্তি প্রদান করে শ্রেয়াকে।

প্রতীতি রায় শ্রেয়ার বাবা জগন্নাথ রায়, বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজের অধ্যাপক এবং মা ইন্দ্রাণী বর্মণ রংপুরের পীরগঞ্জ সরকারি শাহ আব্দুর রউফ কলেজের একজন প্রভাষক।
বাবার চাকুরীর সুবাধে বগুড়ায় থাকাকালীন সময়েই শ্রেয়া ২০২০ সালে বগুড়া সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে জিপিএ ৫ পেয়ে এসএসসি এবং ২০২২ সালে বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজ থেকে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ ৫ পেয়ে এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন।
ইতিপূর্বে শ্রেয়া ২০১৭ সালে জাতীয় শিশু পুরস্কার প্রতিযোগিতায় কত্থক নৃত্যে রৌপ্য পদক, একই সালে বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর প্রতিযোগিতায় লোক ও সৃজনশীল নৃত্যে জাতীয় পর্যায়ে প্রথম ও তৃতীয় পুরস্কার এবং ২০১৮ সালে জাতীয় শাপলা কুঁড়ি প্রতিযোগিতায় উচ্চাঙ্গ নৃত্যে তৃৃতীয় ও সৃজনশীল নৃত্যে সেরা দশ নৃত্যশিল্পীর কৃতিত্ব অর্জন করে।

এছাড়াও সে বাংলাদেশ নৃত্যশিল্পী সংস্থা ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির যৌথ আয়োজনে দেশব্যাপী বয়স ও বিষয় ভিত্তিক নৃত্য প্রতিযোগিতায় ২০১৪ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত নৃত্যের বিভিন্ন শাখায় মোট তেরোটি জাতীয় পুরস্কারসহ সর্বমোট আঠারোটি জাতীয় পর্যায়ের পুরস্কার অর্জন করেছেন। এছাড়াও তিনি ২০১৯ সালে ‘প্রেসিডেন্সি স্কাউট’ এওয়ার্ড অর্জন করেছেন।
শ্রেয়ার বাবা অধ্যাপক জগন্নাথ রায় বলেন, শ্রেয়ার নৃত্যের হাতেখড়ি হয় তাপসী রাবেয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক স্বর্ণকার জহুরুল ইসলাম রতনের হাতে এবং তার উচ্চাঙ্গ নৃত্য শিক্ষক রবীন্দ্রনাথ সরকার। এছাড়াও তিনি বিভিন্ন সময়ে স্বনামধন্য নৃত্যগুরু বেলায়েত হোসেন খান, নৃত্যগুরু সাজু আহমেদ এবং নৃত্যগুরু এমআর ওয়াসেকের কাছে নৃত্যে বিভিন্ন বিষয় তালিম নিয়েছেন।

মা ইন্দ্রাণী বর্মন জানান, প্রতীতি রায় শ্রেয়া বাংলাদেশ নৃত্যশিল্পী সংস্থা, বগুড়া জেলা শাখার একজন সক্রিয় সদস্য। ৫ বছর বয়স থেকে প্রতীতি রায় শ্রেয়া উচ্চারণ একাডেমি, বগুড়া ও ক্রিয়েটিভ কালচারাল একাডেমি, বগুড়ার একজন শিক্ষার্থী। উচ্চারণ একাডেমির পরিচালক এডভোকেট পলাশ খন্দকারের দিক নির্দেশনায় শ্রেয়া বিভিন্ন চ্যানেলে বেশ কয়েকটি শিশুতোষ নাটকে অভিনয় করেছেন। প্রতীতি রায় শ্রেয়া ২৩ আগস্ট বুধবার ভারতের দিল্লীর উদ্দেশ্যে যাত্রা করবেন এবং শ্রেয়ার জন্য সকলের আশীর্বাদ কামনা করেছেন।