মাজহারুল ইসলাম, রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি: এবার সরিষার ফসলে রঙ্গিলভূমিতে পরিনত হয়েছে সরিষার মাঠ, চলতি মৌসুমে সরিষার ব্যাপক চাষ করেছে কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার কৃষকরা। অল্প খরচে বেশী লাভ হওয়ায় সরিষা চাষে আগ্রহবেশী চাষিরা। এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে চলতি বছর সরিষার বাম্পার ফলন পাবেন কৃষকরা । এই অঞ্চলটি নিচু হওয়ার কারনে বন্যার পানি নেমে যাওয়ার সাথে সাথেই কৃষকরা বাড়তি ফসল হিসেবে সরিষা চাষ করে থাকেন। এবং উচু জমি গুলোতে আমনের চাষ করে থাকে ধান কাটার পর আবার সরিষা চাষ করেন। সরিষা ফসল তুলেই বোরো মৌসুমে ধান রোপণ করবেন কৃষকরা। তবে কৃষকদের অভিযোগও রয়েছে যেমন কৃষকরা বলছেন আমরা ভালো ফসল উৎপাদন করেও শান্তি পাচ্ছিনা কারন উৎপাদিত ফসল বিক্রয় করতে রাস্তার অভাবে চরম ভোগান্তী পোহাতে হচ্ছে আমাদের। আমরা সরকারের কাছে জোর দাবী জানাই সীমান্তঘেষা যাদুর চর ইউনিয়নের প্রতি সুজর দিয়ে যোগাযোগের ব্যবস্থা করতে হবে।
উপজেলার আলগারচর গ্রামের কৃষক আলহাজ¦ হাছেন আলী বলেন আমাদের জমি গুলো নিচু হওয়ায় আমরা আমন ধানের চাষ করতে পারিনা। তাই বন্যার পানি নেমে যাওয়ার সাথে,সাথেই প্রতিবছরের ন্যায় এবারও সরিষার চাষ করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন এই সীমান্ত ঘেষা অঞ্চলটিতে মাত্র দুটি ফসলই চাষ করা সম্ভব হয়। তবে সরিষা উৎপাদনে আগাছা পরিষ্কার করতে হয়না, অল্প খরচে লাভ অনেক বেশি তাই আমি প্রতি বছরই ১২ থেকে ১৫ বিঘা জমিতে সরিষার চাষ করে থাকি।
সরিষা চাষি কৃষক গোলাম মোস্তফার দাবী সরিষা ভালো হলেই কি তেলের দাম না কমালে লাভ হবেনা। উপজেলার যাদুর চর ইউনিয়নের কৃষক সাখাওয়াত হোসেন ছক্কু বলেন সরিষা চাষে খরচ অনেক কম লাগে লাভ বেশি হওয়ায় সরিষা চাষ করা হয়। সরিষা বিক্রি করে ওই টাকায় সংসারের চাহিদা মিটিয়ে বোরো ধানের চাষ করতে পারি।
তিনি আরও বলেন, প্রতি বিঘা জমিতে সরিষা চাষে খরচ হয় ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা, ভালো সরিষা হলে ১২ থেকে ১৩ মণ পর্যন্ত সরিষা হয়ে থাকে। তারা বলেন প্রতি মণ সরিষা বাজারে নিয়ে ২ থেকে আড়াই হ্জার টাকা দরে বিক্রয় করা হয়।
রৌমারী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কাইয়ুম চৌধুরী বলেন, কৃষকরা এই ফসলটাকে বাড়তি আয়ের উৎস হিসেবে চাষাবাদ করে থাকে। এবার আমাদের রৌমারী উপজেলায় সরিষা চাষের লক্ষ্য মাত্রা ছিল ৪ হাজার হেক্টর,কিন্তু লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে এবার সরিষার চাষ হয়েছে প্রায় ৫ হাজার হেক্টর জমিতে। এখন পর্যন্ত আবওহায়া অনুকুলে আছে শেষ পর্যন্ত এরকম থাকলে কৃষকরা সরিষার বাম্পার ফলন পাবে।