ইডি, সিবিআই ডাকছে না, তাই তো জাতে উঠতে পারছি না: শ্রীলেখা মিত্র


“জাতে উঠতে পারছি না তো। কারণ অভিনেতা হওয়া তো এখন জলভাত হয়ে গিয়েছে।” রোববার সকালে শ্রীলেখা মিত্রর আচমকাই এ হেন উপলব্ধি। হঠাৎ কেন এমন কথা বললেন শ্রীলেখা? কয়েক দিন ধরে খবরের শিরোনামে রয়েছেন অভিনেতা বনি সেনগুপ্ত। নিয়োগ দুর্নীতি মামলার জল গড়িয়েছে বহু দূর। যাতে প্রত্যক্ষ ভাবে না হলেও পরোক্ষে নাম জড়িয়েছে বনির। কারণ এই নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আটক কুন্তল ঘোষের থেকে তিনি নাকি ৪০ লক্ষ টাকা দামের গাড়ি নিয়েছিলেন। তাই নিয়ে বনিকে একপ্রস্ত জেরাও করেছে ইডি। সেই রেশ ধরেই কটাক্ষের সুর শোনা গিয়েছিল প্রযোজক রানা সরকারের কণ্ঠে। এ বার তেমনই ইঙ্গিত শ্রীলেখার পোস্টে।

ফেসবুকে শ্রীলেখা লেখেন, “জীবনে একটা ইডি, সিবিআই-এর ডাক পেলাম না!!! রোজ়ভ্যালি থেকে কুন্তল… ছিঃ ছিঃ” বহু বছর ধরে যে নায়িকা একই কোম্পানির গাড়ি ব্যবহার করছেন, সে কথাও উল্লেখ করেছেন তার পোস্টে। শ্রীলেখা আরও যোগ করেন, “আর পরের ছবির প্রযোজকের আশায়। ধুর ধুর! পতিবাদ থুরি প্রতিবাদ করছি।”

এ প্রসঙ্গে ভারতীয় গণমাধ্যমকে শ্রীলেখা বলেন, “জাতে উঠতে পারলাম না তো। বাংলা সিনেমা করে কত পারিশ্রমিক পাওয়া যায়, সেই ধারণা সকলেরই আছে। উঁচু দামি গাড়ি চড়ছ, ইডি সিবিআই ডাকছে, তার পর তা দাদা-দিদিদের ধরে ধামাচাপা দিতে পারছ কি না, সেটাই তো এখন ট্রেন্ড। এই সব দেখেও অনেকে চুপ থাকে। শ্রীলেখা এমনি এমনি কিছু বলে না। যার সম্পর্কে বলে সঠিক কারণেই বলে।’’

অবশ্য এই প্রসঙ্গেই শ্রীলেখা জানিয়েছেন কাউকে ব্যক্তি আক্রমণ করা তার উদ্দেশ্য নয়। অভিনেত্রী প্রশ্ন তুলেছেন, ‘‘ঘুণ ধরে যাওয়া এই সমাজব্যবস্থার বিরুদ্ধে আমার কথা বলা। যোগ্যতার নিরিখে কেন এখানে কাজ হবে না?’’ ইদানীং বিশিষ্টদের মধ্যে অনেকেই তাদের প্রতিবাদের মাধ্যম হিসাবে সমাজমাধ্যমকে বেছে নেন। সেই প্রসঙ্গ টেনে শ্রীলেখা বললেন, ‘‘এখন যারা ফেসবুকে প্রতিবাদ করেন, তারা বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে প্রতিবাদ জানান। এই সব বিষয়ে তারা কিন্তু কথা বলবেন না। আর এই সব দেখে আমি চুপ থাকতে পারি না। কারণ মানুষ হিসাবে আমার বোধ কাজ করে।”

সূত্র: আনন্দবাজার