করোনায় সংকটে কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, প্রনোদনা দাবী


নিজস্ব প্রতিবেদক: বিশ্বব্যাপি ছড়িয়েপড়া করোনা ভাইরাস কোভিড-১৯ বাংলাদেশেও আঘাত হেনেছে। তাতে বন্ধ হয়ে গেছে শিক্ষা সহ দেশের সকল কার্যক্রম।

এমন পরিস্থিতিতে চরম সংকটে পড়েছে বাংলাদেশে কারিগরি শিক্ষা প্রসারে ব্যাপকভাবে অবদান রাখা প্রায় সাড়ে ৩ হাজার বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। মহাদুর্যোগে সারাদেশে সাড়ে ৩ হাজার উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠানের ৫০ সহস্ব্রাধিক প্রশিক্ষক, কর্মকর্তা কর্মচারী স্বল্প বেতন-ভাতায় চাকরী করে কোন রকমে দিনতিপাত করে আসছেন।

কোবিড-১৯ এর কারনে সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক প্রতিষ্ঠানগুলো ১৮মার্চ থেকে বন্ধ রয়েছে। যে কারনে দেশের প্রতিষ্ঠানগুলোতে কর্মরত প্রশিক্ষক-কর্মচারীগণ বেতন ভাতা প্রতিষ্ঠানের বাড়ি ভাড়া ও ইউটিলিটি ব্যয় (বিদ্যুৎ, টেলিফোন, ইন্টারনেট ইত্যাদি) বাবদ উদ্যোক্তা/ প্রতিষ্ঠানগুলো প্রতিমাসে প্রায় ১০৫ কোটি টাকা ব্যয় যেন এখন সেটি হয়ে উঠেছে গলার কাঁটা।

আয় বন্ধ হওয়ার পরও এসব বিপুল খরচ অব্যাহত রয়েছে। ফলে করোনা দুর্যোগ মুহুর্তে প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ থাকায় উদ্যোক্তাগণ আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হওয়ায় বিপুল পরিমান ব্যয় নির্বাহ করে প্রতিষ্ঠান বাচিঁয়ে রাখা তাদের জন্য দুরুহ হয়ে পড়েছে। এমন অবস্থায় প্রতিষ্ঠান গুলোকে বাঁচিয়ে রাখতে সংকটকালিন সরকারি প্রনোদনা চায় প্রতিষ্ঠানগুলোর উদ্যোক্তাদের সংগঠন “বেসিক ট্রেড স্কীল ডেভেলপমেন্ট ফোরাম”।

করোনা ভাইরাস মহাদুর্যোগ পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষাবোর্ড অনুমোদিত বেসরকারি উদ্যোগে পরিচালিত সারাদেশের সাড়ে ৩ হাজার দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান /উদ্যোক্তাগণ সরকার ঘোষিত আর্থিক প্রণোদনা প্যাকেজের অর্ন্তভুক্তকরনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবর আবেদন পাঠানো হয়েছে। যাহার ম্মারক নং বিটিএসডি এফ/২০২০/১০ (১) তারিখ ২৬/০৪/২০২০ ইং।

বেসিক ট্রেড স্কীঁল ডেভেলপমেন্ট ফোরাম আহবায়ক নিত্যানন্দ সরকার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবর এক ম্মারকে বলেন, বেসিক ট্রেড স্কীল ডেভেলপমেন্ট ফোরামের বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষাবোর্ড অনুমোদিত বেসিক ট্রেড পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান সমূহের সমন্বয়কারী ফোরাম। উদ্যোক্তা/ প্রতিষ্ঠানগুলো দেশের বিপুল পরিমান জনসংখ্যাক বিভিন্ন ট্রেডে কারিগরি ও আইসিটি প্রশিক্ষনের মাধ্যমে দক্ষ মানব সম্পদ ফ্রিল্যান্সার তৈরি এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ বির্নিমানে কাজ করে যাচ্ছে।

বেসিক ট্রেড স্কীঁল ডেভেলপমেন্ট ফোরাম সদস্য সচিব মো, তোফাজ্জেল হোসেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবর এক স্বারকে বলেন, দ্যোক্তা/প্রতিষ্ঠানগুলো শারীরিক প্রতিবন্ধী, হিজড়া, বিধবা ও স্বামী পরিত্যাক্তা মহিলাসহ সমাজের সুবিধা বঞ্চিত বেকার যুবক যুবতীদের বিনা খরচে দক্ষতা উন্নয়নে প্রশিক্ষণ দিয়ে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করে আসছে। উদ্যোক্তা/ প্রতিষ্ঠানগুলো সব ধরনের জাতীয় দিবস পালনসহ সরকার ঘোষিত সকল রাষ্ট্রীয় কার্যক্রম স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করে থাকে। বর্তমানে সরকার মিশন-২০২১ ও রুপকল্প-২০৪১ বাস্তবায়নে সহায়ক ভূমিকা পালন করে আসছে। একই সাথে এসডিজি অর্জনে প্রতিষ্ঠানগুলো গুরুর্ত্বপূন ভূমিকা পালন করে আসছে।

বেসিক ট্রেড স্কীঁল ডেভেলপমেন্ট ফোরাম নির্বাহী সদস্য মো: লুৎফর রহমান বলেন, বর্তমানে করোনা মহাদুর্যোগে উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠানগুলো করেনা সচেতনতা মূলত লিফলেট ও অনলাইন মিডিয়ায় প্রচার, মাস্ক, সাবান, হ্যান্ড স্যানিটাইজারসহ খাদ্য সামগ্রী বিতরন অব্যাহত রাখছে। করোন সংক্রামক এড়াতে প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা সত্বেও প্রশিক্ষাণার্ধীদের স্বার্থে অনলাইনে ক্লাশ নেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে উদ্যোক্তাগণ জেলা-উপজেলা পর্যায়ে করোনা সংকট প্রতিরোধে সক্রিয় ভাবে কাজ করেছেন।

তাই বর্তমান প্রেক্ষাপটে এসডিজি-অর্জনে সহায়ক প্রতিষ্ঠান অর্থাৎ কারিগরি শিক্ষাবোর্ড বে-সরকারি প্রতিষ্ঠান টিকিয়ে রাখার লক্ষ্যে সরকারি প্রণোদনাসহ বিভিন্ন কর্মসূচীতে অর্ন্তভ’ক্ত রাখা প্রয়োজন।

এ বিষয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মূখ্য্যসচিবসহ সংশ্লিষ্ট বোর্ড কর্তপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।