চাঁপাইনবাবগঞ্জে তীব্র গরমে অতিষ্ঠর পর স্বস্তির বৃষ্টি


ফয়সাল আজম অপু , চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধিঃ গত কয়েকদিক থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জসহ উত্তরাঞ্চলে তীব্র গরমে অতিষ্ঠ হয়েছিল মানুষ। প্রচন্ড রোদ আর গরমে প্রয়োজন ছাড়া মানুষ তেমন বাহিরে বের হয়নি। করোনা ভাইরাসের কারণেও মানুষ ঈদে না ঘুরে নিজনিজ বাড়িতে অবস্থান করছে। এরই মধ্যে তীব্র গরমের পর অবশেষে ঈদের দ্বিতীয় দিন মঙ্গলবার বিকেল ৫ টা থেকে দমকা হাওয়া ও মেঘের গর্জন দিয়ে স্বস্তির বৃষ্টি নামে।

শীতল পরশ ছেঁয়ে যায় প্রকৃতি। অন্যদিকে আম্পানের ক্ষতি কাটিয়ে না উঠতেই আবারো ঘূর্নিঝড়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর ইউনিয়নের দুটি গ্রামের প্রায় অর্ধ শতাধিক বাড়িঘর-গাছপালা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। সোমবার ঈদের দিন সন্ধ্যায় বয়ে যাওয়া ঘূর্ণিঝড়ে রহনপুর ইউনিয়নের কাজিগ্রাম ও কলকলিয়া গ্রামের প্রায় অর্ধ শতাধিক কাঁচা-পাঁকা বাড়ি ঘর ও বহু গাছপালা ভেঙ্গে পড়ে।

পরে রহনপুর ফায়ার সার্ভিস ষ্টেশনের কর্মীরা কাজিগ্রাম-কলকলিয়া সড়কের ভেঙ্গেপড়া গাছ পালা পরিস্কার করে যান চলাচল স্বাভাবিক করে। রহনপুর ফায়ার সার্ভিস ষ্টেশনের সিনিয়র ফায়ারম্যান রেজাউল করিম জানান, ঝড়ের কারণে রাস্তায় বেশ কিছু বড় গাছপালা ভেঙ্গে পরে।

পরে যান চলাচল স্বাভাবিক করতে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা কাজ করে তা রাস্তা থেকে সরিয়ে ফেলে। ঘূর্নিঝড়ে উঠতি বোরো ধান ও আমের ক্ষয়ক্ষতি প্রসঙ্গে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা তৌহিদুল ইসলাম জানান, জমিতে কেটে রাখা বোরো ধান কিছুটা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে এবং কিছু গাছের আম ঝড়ে পড়েছে। ক্ষয়ক্ষতি প্রসঙ্গে উপজেলা ত্রাণ ও দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান জানান, ঘূর্নিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

সন্ধ্যার এ ঝড়ে পার্শ্ববতী নাচোল উপজেলার কসবা ইউনিয়নের সোনাইচন্ডী গ্রামে দেয়াল চাপা পড়ে এক শিশুসহ এক বৃদ্ধ মহিলা আহত হয়েছে। আহত ওই বৃদ্ধ মহিলাকে প্রথমে গোমস্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে রামেক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।