দুর্গাপুরে চাঁদা দাবির ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতাকে মারধোর, থানায় অভিযোগ


দুর্গাপুর প্রতিনিধি : রাজশাহীর দুর্গাপুরে চাঁদা দাবির ঘটনাকে কেন্দ্র করে সোহাগ মোল্লা নামের ছাত্রলীগ নেতাকে মারধোরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার রাতে এ ঘটনার পর আহত সোহাগ মোল্লাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের লোকজন থানায় পাল্টাপাল্টি  লিখিত অভিযোগ করেছে।
আহত ছাত্রলীগ নেতা সোহাগ মোল্লা উপজেলার ২ নং কিসমত গণকৈড় ইউনিয়ন শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ও কয়ামাজমপুর গ্রামের আব্দুল মালেকের ছেলে বলে জানা গেছে।
দেবীপুর গ্রামের সাজেদুর রহমান অভিযোগ করেন, কয়ামাজমপুর গ্রামের মোস্তফা নামের এক ব্যাক্তির পুকুর কন্টাকে খনন করার দায়িত্ব নিয়েছেন তিনি। বেশ কিছুদিন থেকে এলাকার বিভিন্ন পুকুর ব্যবসায়ীর নিকট থেকে ছাত্রলীগের নাম ভাঙ্গিয়ে চাঁদাবাজি করে আসছিলো সোহাগ।  বিষয়টি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের আহ্বায়ক জহুরুল হককেও জানানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার মোস্তফার কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে সোহাগ। পরে ৫ হাজার টাকা দাবি করে। মোস্তফা এক হাজার টাকা দিতে চাইলে তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং তার ব্যবসার ক্ষতিসাধন করার হুমকি দেয়।
এ ঘটনা জানাজানি হলে এলাকার লোকজন সোহাগকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে। তখন সোহাগ বলে একটু-আধটু টাকা না নিলে আমি ছাত্রলীগ চালাবো কেমনে? আমাকে টাকা দিতেই হবে। এসময় গ্রামের সাধারণ লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে সোহাগকে মারধোর করেছে।
এস্কেভেটর ব্যবসায়ি রবিউল জানান, ছাত্রলীগ নেতা সোহাগ মোস্তফার পুকুরে গিয়ে এস্কেভেটর চালক হানিফের কাছে টাকা দাবি করে ও হুমকী-ধামকী দেয়। এরপর সেখানে কি ঘটেছে তা আমি জানিনা।
ছাত্রলীগ নেতা সোহাগের বাবা আব্দুল মালেক বলেন, ফেসবুকে পোস্ট করা নিয়ে তার ছেলে সোহাগকে মারধোর করেছে মোস্তফা ও তার লোকজন। পুকুর খনন বিষয়ে চাঁদা দাবির বিষয়টি সত্য নয় বলেও দাবি করেন আব্দুল মালেক। এ ঘটনায় তিনি বাদী হয়ে মোস্তফা সহ কয়েকজনকে আসামী করে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন বলেও জানান।
দুর্গাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাজমুল হক বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগ তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।