বগুড়ায় সাব-রেজিষ্ট্রি অফিস চত্বরে জায়গা দখল করে ঘর নির্মাণের অভিযোগ


দীপক কুমার সরকার, বগুড়া প্রতিনিধি: সরকারি বিধি নিষেধ উপেক্ষা করে বগুড়ার শেরপুরে সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসের মধ্যে জায়গা দখল করে অবৈধ ও স্থায়ীভাবে ঘর নির্মাণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘর নির্মাণ কাজে বাধা দেয়ায় সাব-রেজিস্ট্রারকে নানা হুমকী-ধামকি দেয়ও হয়েছে।

এতে থানা পুলিশ অবৈধভাবে ঘর নির্মাণ বন্ধ করে দিলেও অজ্ঞাতকারণে থেমে নেই ঘরের নির্মাণের কাজ। এসব ঘটনায় শেরপুর থানায় কতিপয় প্রভাবশালী দলিল লেখকদের বিরুদ্ধে মৌখিক অভিযোগ দিয়েও কোন সুরাহা না মেলায় সচেতনমহলে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

জানা যায়, সরকারি বিধিমতে কোন সরকারি অফিস চত্ত্বরে ব্যাক্তিগতভাবে কোন স্থায়ী বা অস্থায়ী ঘর নির্মাণ করা যাবেনা। এমন নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্বেও শেরপুর সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের কতিপয় দলিল লেখক তাদের নিজের সুবিধার্থে স্থায়ী ঘর নির্মাণ করে যাচ্ছে।

সরেজমিনে ১৭ জুন বুধবার সকালে শেরপুর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে গিয়ে দেখা যায়, রেজিস্ট্রি অফিস চত্ত্বরের উত্তরগেটের খালি জায়গায় মুজিব জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে লাগানো বেশ কয়েকটি গাছ কর্তন করে দলিল লেখক সমিতির উপদেষ্টা এম এ মতিন সাধারণ মানুষের দলিল লেখার জন্য স্থায়ী ঘর নির্মাণকাজ শুরু করেছেন।

এর প্রেক্ষিতে সাব-রেজিস্ট্রার সাজেদুল হক ওই নির্মাণকাজ বন্ধের নির্দেশ দিয়ে থানা পুলিশকে অবগত করেন। থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয়। এতে সংশ্লিষ্ট কতিপয় দলিল লেখক যোগসাজষ করে সরকার দলীয় প্রভাবশালী এক নেতার মধ্যস্থতায় পুনরায় নির্মাণ কাজ অব্যাহত রাখে।

এছাড়া সমিতির উপদেষ্টা ও খানপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান মতি অফিস চত্ত্বরে সরকারিভাবে বিধি নিষেধ থাকা সত্বেও প্রভাব খাটিয়ে ঘর নির্মাণ করায় অন্যান্য দলিল লেখকদের মধ্যে বজলুর রহমান, ছানাউল, নুরে আলম সানি, আমজাদ হোসেন, আক্তার হোসেন, ছানোয়ার, তরিকুল, রাঙা, মোত্তালেব, শাহীনসহ অনেকেই একই কায়দায় জায়গা দখল করে ঘর নির্মাণ করে।

এ ব্যাপারে দলিল লেখক সমিতি’র উপদেষ্টা এম এ মতিন বলেন, রেজিষ্ট্রি অফিস চত্বরে এর আগেও ঘুমটি ঘর ছিল এখনও থাকবে? তবে আমরা যেহেতু সরকারকে ভ্যাট ট্যাক্স দেই, সেক্ষেত্রে ঘর তুলতেই পারি। তাছাড়া নিজেদের মধ্যে একটু ভূল বোঝাবুঝির ফলে সাময়িক সমস্যা হয়েছিল, এখন আর নেই।

এ ব্যাপারে শেরপুর উপজেলা দলিল লেখক সমিতি’র সভাপতি এস এম ফেরদৌসের সাথে কথা বললে তিনি জানান, সাব-রেজিষ্টারের অনুমতি নিয়েই সবাই ঘর তুলছে।

এ প্রসঙ্গে সাব-রেজিস্ট্রার সাজেদুল হক সাংবাদিকদের বলেন, অফিস চত্ত্বরে ব্যাক্তি উদ্যোগে অস্থায়ীভাবে ঘর নির্মাণ করা যাবে, তবে স্থায়ী ইমারত গড়া যাবেনা।