রাবিতে ৭দিনব্যাপী ‘বার্ষিক শিল্পকর্ম প্রদর্শনী’


রাবি প্রতিনিধি : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ৭ দিনব্যাপী শিল্পকর্ম প্রদর্শনী শুরু হবে আগামী ১মার্চ মার্চ থেকে চলবে ৭ মার্চ  বিকেল পর্যন্ত। চারুকলা অনুষদের চিত্রকলা, প্রাচ্যকলা ও ছাপচিত্র বিভাগের আয়োজনে এ শিল্পকর্ম প্রদর্শনীর উদ্বোধন করবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু অধ্যাপক সনৎকুমার সাহা।
সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ৩০২ নম্বর কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এসব কথা বলেন বিভাগের অধ্যাপক ড. গুল নেহার বেগম।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, একজন শিক্ষার্থী বছরজুড়ে যেসব শিল্পকর্ম সৃজন করে থাকেন তা থেকে বিজ্ঞ শিক্ষকদের সুনির্বাচিত শিল্পকর্মটি ‘বার্ষিক চারুকলা প্রদর্শনীতে স্থান পায়। চিত্রকলা, প্রাচ্যকলা ও ছাপচিত্র এই তিনটি ডিসিপ্লিনের প্রতিটি শিল্পকর্মে নান্দনিক উপস্থিতি ও সৃজনভাবনার উপলব্ধিতে অভিন্ন থাকলেও উপস্থাপন ও কলাকৈবল্যে ভিন্নতা রয়েছে। বর্তমানে অ্যাক্রেলিক মাধ্যমেও চিত্রাঙ্কিত হয় ক্যানভাস বা কাগজপটে।
এবারের প্রদর্শনীতে থাকছে, স্কুল শৈলীর ধৌত পদ্ধতিতে চিত্রচর্চিত হয় কাগজও দেয়াল, ছাপচিত্র ডিসিপ্লিন-এ মূলত বিভিন্ন ধাতব টুলস, কেমিক্যাল, ধাতব প্লেট, কাঠের পাতলা বা মোটা পাটাতন, পাথর প্রেসকালিসহ প্রায় তিন শতাধিক শিল্পকর্ম।
তিনি আরও বলেন, শিক্ষার্থীদের শিল্পকর্ম মূল্যায়নের ভিত্তিতে পুরস্কার প্রধান করা হবে। তিন ক্যাটাগরিতে এ পুরস্কার দেওয়া হবে শিক্ষার্থীদেরকে। শ্রেষ্ঠ শিল্পকর্মটির জন্য ‘শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন’ পুরস্কার এবং তিন ডিসিপ্লিনের জন্য তিনটি ‘মাধ্যম শ্রেষ্ঠ’ পুরস্কারের সাথে দেশের প্রথিতযশা প্রয়াত কয়েকজন চারুশিল্পীর নামে ‘স্মৃতি পুরস্কার’ প্রদর্শনীতে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার প্রদান করবেন এ অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম সাব্বির সাত্তার।
চিত্রকলা, প্রাচ্যকলা ও ছাপচিত্র বিভাগের সভাপতি ‘বার্ষিক চারুকলা প্রদর্শনী’ আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. আবদুস সোবাহানের সভাপতিত্বে শিল্পকর্ম প্রদর্শনীতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্যদ্বয় অধ্যাপক ড. মো. সুলতান-উল-ইসলাম ও অধ্যাপক ড. মো. হুমায়ুন কবীর, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. অবায়দুর রহমান প্রামাণিক, চারুকলা অনুষদের অধিকর্তা অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলী এবং চিত্রকলা, প্রাচ্যকলা ও ছাপচিত্র বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. আবু তাহের।