রৌমারী-রাজিবপুরে ধানে ব্যাপক ব্লাস্টে আক্রান্তে দিশেহারা কৃষকরা


মাজহারুল ইসলাম,রৌমারী কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি: চলতি মৌসুমে রৌমারী উপজেলায় ২ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের আমনের আবাদ হয়েছে। পাশাপাশি চর রাজিবপুর উপজেলায় ৫০০ হেক্টর জমিতে আউশ ধানের চাষ করেছে কৃষকরা। দুই উপজেলা আউশের এলাকায় গিয়ে সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে ছত্রাকজনিত ‘নেক ব্লাস্ট’ রোগের ব্যাপকভাবে আক্রমণ করেছে।

এ কারণে ধানের শীষ শুকিয়ে চিটা হয়ে যাওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছে আউশ ধান চাষিরা। ক্ষেতের ধান নষ্ট হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়ে কৃষি কর্মকর্তাদের দুষছেন কৃষকরা।এই আমন মৌসুমে বৃষ্টি না থাকায় বোরো ধান চাষের সমান খরচ বহণ করতে হচ্ছে আউশ চাষিদের। চাষিরা বলছেন এবার যেভাবে খরচা হয়েছে এ খচরা উঠাতে লোকসান গুনতে হবে এমন দুশ্চিন্তায় রয়েছেন কৃষকরা। অনেকে ঋণ নিয়ে ধানের আবাদ করেছেন। ধান না হলে কীভাবে ঋণ পরিশোধ করবেন সেটি নিয়েও হতাশাগ্রস্ত অনেকে।

\ব্লাস্ট রোগে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক সোনা মিয়া, বলেন তিন বিঘা জমিতে আউশ ধান ৪৮ রোপন করেছি ৪ বার করে বিষ প্রয়োগ করেও নেক ব্লাস্ট রোগ থেকে রক্ষা করা সম্ভব হয়নি ফলে প্রায়ই ধানের শীর্ষ সাদা হয়ে বেড় হয়েছে।

কৃষক সাখিম উদ্দিণ বলেন একইভাবে জানান , কৃষক জয়নাল আবেদীন অভিযোগ করে বলেন কৃষি কর্মকর্তারা আমাদের দেখভাল করলে হয়তবা এ ফসলের এতো ক্ষতি হতো না।

নেক ব্লাস্টে ক্ষতিগ্রস্ত আউশ ধান চাষিরা এবিষয়ে রৌমারী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কাইয়ুম চৌধরী বলেন এ মৌসুমে প্রায় ১০ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চাষ হয়েছে ফলনও ভালো হয়েছে এবং ফষল প্রায় কাটামাড়াই শেষের দিকে।

অপরদিকে ৫ হাজার হেক্টর জমিতে আউশ ধানের চাষ হয়েছে, এবার বৃষ্টি না হওয়ায় নেক ব্লাস্ট এবং মাজরা পোকায় আক্রমণ করছে এবিষয় আমরা কৃষকদের সবসময় পরার্মশ দিয়ে আসছি যাতে করে কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।