অধ্যক্ষ আব্দুর রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা


গোদাগাড়ী (রাজশাহী) প্রতিনিধি:  অধ্যক্ষ আব্দুর রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে রাজশাহী জেলা ও দায়রাজজ আদালতের বিচারক মীর শফিকুল ইসলাম।  ১২ অক্টোবর সোমবার এই গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। 

গত ২০১৮ সালে গোদাগাড়ী সরকারি কলেজের উপাধ্যক্ষ মোঃ উমরুল হক অধ্যক্ষ আব্দুর রহমানের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ সিনিয়র স্পেশাল ট্রাইবুনাল ও রাজশাহী দায়রা জজ আদালতে মামলা করেন (মামলা নং ৭/২০১৮)।

বিজ্ঞ আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে দুদক রাজশাহী সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপর তদন্ত ভার অর্পণ করেন। রাজশাহী জেলা দুদকের সমন্বিত কার্যালয়ের সহকারি পরিচালক মো. আলমগীর হোসেন মামলাটি তদন্ত করেন। তদন্ত রির্পোটে অধ্যক্ষ আব্দুর রহমান কর্তৃক কলেজ একাউন্টের ৭২ লক্ষ ৪২ হাজার ৭৩০ টাকা অতœসাতের বিষয়টি প্রমাণ হয়।

এদিকে, অধ্যক্ষ আব্দুর রহমানের শ্যালক সেলিম হাসান অন্য সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত থাকলেও গোদাগাড়ী কলেজে তার পূর্বের যোগদান বহাল রাখেন। এবং তাকে  সরকারি কলেজের শিক্ষক করার মানসে সেলিম হাসানের কাগজপত্র ডিজিতে প্রেরণ করেন।

এছাড়াও তিনি মনোবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক তারেক আজিজকে নিয়োগ দেওয়ার জন্য চেকের মাধ্যমে  ৯ লক্ষ গ্রহণ করেন ফলে দুদকের তদন্তে আব্দুর রহমানের ঘুষ নেবার বিষয়টি প্রমাণিত হয়েছে।

এছাড়াও বাংলা বিভাগের প্রভাষক  মনিরুল ইসলামের নিকট হতে ৮ লক্ষ টাকা ঘুষ গ্রহণ করেছে মর্মে মনিরুল ইসলাম ফৌজদারি কার্যবিধি ১৬১ ধারায় দুদকের নিকট জবানবন্দি প্রদান করেছেন।

অধ্যক্ষ আব্দুর রহমানের বিরুদ্ধে আরো তদন্ত করলে কলেজের বিপুল পরিমাণ অর্থ আতœসাতের বষয়টি প্রমাণিত হবে।
এদিকে গোদাগাড়ীর সুশিল সমাজ অধ্যক্ষ আব্দুর রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হওয়ায় সন্তোশ প্রকাশ করে তাকে অনতিবিলম্বে গ্রেফতারের জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগের নিকট দাবি জানান।

অপরদিকে গোদাগাড়ী সরকারি কলেজের অনেক শিক্ষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে আব্দুর রহমানের গ্রেফতারি পরেয়ানায় উল্লাস প্রকাশ করে এধরনের দুর্নীতিবাজ অধ্যক্ষর উপযুক্ত শাস্তি দাবি করেন।

এ বিষয়ে গোদাগাড়ী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুর রহমানের সহিত যোগাযোগ করা হলে বলেন, তাকে মিথ্যা মামলায় ফাসানো হয়েছে, বিচারে তিনি বেকসুর খালাস পাবেন বলে জানান, অরেক প্রশ্নের জাবাবে বলেন, যে, উপাধ্যক্ষ উমরুল হক তার বিরুদ্ধে মামলা কলেছে তাই তাকে আমি দায়িত্ব না নিয়ে শিক্ষক পরিষদের সেক্রেটারীকে দায়িত্ব দিয়ে মামলায় জামিন নেওয়ার চেষ্ঠায় আছি।