কুৃড়িগ্রামের রৌমারী পূনঃ ভোট গণনার দাবী জানিয়েছে একটি পক্ষ


রৌমারী(কুড়িগ্রাম)প্রতিনিধি: কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী উপজেলার বন্দবেড় ইউনিয়ন ইউপি নির্বাচন সর্ম্পূন্ন, হওয়া নির্বাচনের ফলাফল ঘোষনার প্রতিবাদে উপজেলা নির্বাচন ও রিটার্নিং অফিসারসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করেছেন ১,২ ও ৩ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত আসনের প্রার্থী হোসনে আরা খাতুন।  অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, ১০ ডিসেম্বর উপজেলার বন্দবেড় ইউনিয়নে শান্তি শৃঙ্খলা ভাবে ৯ টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।

 

অনুরুপ ভাবে ১ নং ওয়ার্ডের টাপুরচর চর উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে সুষ্ঠ ভাবে ভোট গ্রহন হলেও ফলাফল ঘোষনায় কারচুপি করার অভিযোগ উঠে।
ওই কেন্দ্রে মোট ভোটার সংখ্যা রয়েছে ৩৪৪৫ ও ভোট গ্রহণ হয়েছে ২৬৩৯টি ভোট। ভোট গণনা শেষে প্রিজাইডি অফিসার ও উপজেলা প্রাথমিক সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তা (এটিও) নাজমুল আলম প্রার্থীর এজেন্টদের কাছে লিখিত ফলাফল না দিয়ে মৌখিক ভাবে ঘোষনা করেন। এতে ওই কেন্দ্রে সংরক্ষিত প্রার্থী হোসনে আরা (বক) প্রতীক নিয়ে ১৫৬৮ ভোট পায়।

 

তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দি রুমি আকতার (মাইক) প্রতীক নিয়ে ৬২৩ ভোট ও আলেয়া খাতুন (জিরাফ) প্রতীক ৮২ ভোট পায়। তবে উপজেলা নির্বাচন অফিস কার্যালয় থেকে ওই কেন্দ্রের বেসরকারি ভাবে ফলাফল ঘোষনা করা হলে বক প্রতীক ১৫৩৮ ও জিরাফ প্রতীকের ভোট শুন্য দেখানো হয়। জিরাফের ৮২ ভোট গেল কোথায় এ নিয়ে এলাকায় ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। এ বিষয়ে হোসনে আরা পূণরায় ভোট গননার দাবীতে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা রংপুর, দূর্নীতি দমন কমিশন রংপুর, জেলা প্রশাসক ও জেলা নির্বাচন অফিসারসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।

বক প্রতীকের এজেন্ট আমিরুল হক বলেন, আমি প্রিজাইডিং অফিসারকে বারবার লিখিত ভাবে ফলাফল চাইলে তিনি তা না দিয়ে মৌখিক ঘোষনা করেন।তিনি জিরাফ প্রতীকে ৮২ ভোট পেয়েছে ঘোষনা দিলেও অফিসে এসে শুন্য দেখায়।

নৌকা প্রতীকের এজেন্ট চাঁন মিয়া জানান, প্রিজাইডিং অফিসার জিরাফ প্রতীক ৮২ ভোট পাওয়ার ঘোষনা দেন। তবে জিরাফের ভোট রহস্যজনক কারনে শুন্য ঘোষনা করা হয়েছে।

টাপুরচর স্কুল এন্ড কলেজ কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার ও উপজেলা প্রাথমিক সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তা নাজমুল আলম বলেন, কেন্দ্রে যে ফলাফল ঘোষনা করা হয়েছে সেটাই সঠিক। জিরাফ প্রতীকের ভোট শুন্য হওয়ার কথা জানতে চাইলে তিনি পাশকাটিয়ে বলেন আপনারা নির্বাচন অফিসারের সাথে কথা বলেন।

 

উপজেলা নির্বাচন ও রিটার্নিং কর্মকর্তা এএসএম সাইফুর রহমান জানান, প্রিজাইডিং অফিসারের কাছ থেকে লিখিত ফলাফল নেওয়া উচিত ছিল। মৌখিক ফলাফলের কোন দাম নেই। প্রিজাইডিং অফিসার নির্বাচন অফিসে যে ফলাফল জমা দিয়েছে তাই আমরা ঘোষনা দিয়েছি। এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি,তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।