ডাক্তারের অবহেলায় স্কুলছাত্রীর মৃত্যুতে জেলা প্রসাশক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান


নিয়ামতপুর (নওগাঁ) প্রতিনিধি: নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডাক্তার লিংকনের অবহেলার কারনে ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ুয়া স্কুল ছাত্রী তৃষার মৃত্যুর অভিযোগে পরিবার ও এলাকাবাসী মিলে ১৫৪ জন স্বাক্ষরিত  জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছেন।
 বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইমতিয়াজ মোরশেদ জেলা প্রশাসকের পক্ষে স্মারকলিপি গ্রহণ করেন। এরপরে পর্যায়ক্রমে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, উপজেলা পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা এবং উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের কাছে একই স্বাক্ষরিত স্মারকলিপি প্রদান করেন এলাকাবাসী।
 উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা  ডাঃ মাহববুল আলমের কাছে স্মারকলিপির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, অভিযুক্ত চিকিৎসকের অবহেলার বিষয়টি আমি জেনেছি। এজন্য তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং তিন কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট হাতে পেলে এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইমতিয়াজ মোরশেদ বলেন, জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি আমি গ্রহণ করেছি। স্মারকলিপিটি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে পাঠানোর ব্যাবস্হা নেওয়া হচ্ছে।
উল্লেখ্য, রোববার দিবাগত রাতে তৃষাকে বিষাক্ত সাপ (চিতি বড়া) কামড় দিলে রাতেই মরা সাপসহ তাকে নিয়ামতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান তার স্বজনরা। দায়িত্বরত চিকিৎসক ডাক্তার লিংকন অ্যান্টিভেনম রয়েছে এবং এর চিকিৎসাও রয়েছে বলে শিশুটিকে ভর্তি করান স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। এরপর হাসপাতালের বেডে কেটে যায় প্রায় দুঘন্টা। তখনও চিকিৎসা শুরু হয়নি তৃষার। যন্ত্রনায় হাসপাতালের বেডে কাতরাচ্ছিলেন শিশুটি।
ধীরে ধীরে শিশুটি অবনতির দিকে যেতে থাকলে এক পর্যায়ে চিকিৎসক ডাঃ লিংকন জানান স্বাস্থ্য কেন্দ্রে অ্যান্টিভেনম নেই। পরে ওই শিশুটিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
এ নিয়ে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। ডাক্তার লিংকনের বিচার চেয়ে বুধবার মানববন্ধন করে এলাকাবাসীসহ উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও ছাত্র ছাত্রী।