পাইকগাছায় পিতাকে পরিকল্পিত হত্যার বিচার ও জমাজমি আত্বসাৎ কাজে জড়িতদের শাস্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন


পাইকগাছা(খুলনা) প্রতিনিধি:  পিতাকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যার বিচার ও তার জমাজমি আত্বসাৎ কাজে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে পাইকগাছা প্রেসক্লাবে পুত্রের সাংবাদিক সম্মেলন করেছে । পাইকগাছা প্রেসক্লাবে সোমবার সকালে পাইকগাছা উপজেলার সোলাদানা ইউনিয়নের হরিখালী গ্ৰামের পঞ্চানন সানা সাংবাদিক সম্মেলনে তার লিখিত বক্তব্যে বলেন ,তার মাতা মারা যাওয়ার পর একা ভাই ও দু বোন কে মানুষ করার স্বার্থে তার পিতা শিবপদ জবারানী এক মহিলাকে বিবাহ করেন।

 

আমার পিতার ৫০/৬০ বিঘা জমি ছিল এবং তিনি কৃষি কাজ করতেন। আমার বি-মাতা জবারানীর গর্ভে দু কন্যা সন্তান লিপিকা ও চিরতা । আমার বি-মাতা আমার পিতাকে ভুল বুঝিয়ে কিছু জমি লিখে নেয় ।জমি লিখে নেয়ার পর আমার পিতার নামে আরো ২০ বিঘা থেকে যায়। কিছু দিন পর পিতা প্যারালাইসড রোগে আক্রান্ত হয়। পিতা ঘরে থাকতেন সেখানে পায়খানা প্রস্রাব করতেন। আমার বি-মাতা জবারানী তার ভাই অখিল মন্ডল,বিপ্লব মন্ডল,বি-মাতা বোন চিরতা পিতার নামে থাকা বাকী জমি লিখে নেয়ার কৌশল করে পরোস্পর যোগাযোগে ২৭/৮/১০ তারিখে রাতে জোর করে ষ্টাম্পে, বিভিন্ন কাগজে স্বাক্ষর করে নিয়ে জানাজানির ভয়ে লীজ ঘেরের পানিতে চুবিয়ে হত্যা করে।তার পর তারা প্রচার করে পানিতে ডুবে মারা গেছে।

 

আমি যেয়ে বলি হাঁটা চলা ফেরা করতে পারে না পানিতে যেয়ে ডুবে মারা গেল কিভাবে। আমি ঐ সময় আবেগে থাকায় তারা তড়ি ঘড়ি করে মৃত দেহ পুড়িয়ে দেয়। আমি ভারসাম্য হয় পড়ি। আমার পরিবারের সু চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে উঠি। তার পর তাদের জাল জালিয়াতি কাগজ পত্র সংগ্রহ করে খুলনা যুগ্নজেলা জজ ৪নং আদালতে মামলা করি।যার নং দেওয়ানী ৯৪/১৬ । মামলাটি চলমান। তাদের চরিত্র জানতে পেরে পিতার হত্যার বিচার চেয়ে পাইকগাছা উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ৪ জন কে আসামি করে মামলা করি।

 

মামলাটি বিজ্ঞ আদালত পিবিআইতে তদন্ত দেন।যার নং সিআর- ২৬৩/২১ , ধারা-৩০২/৩৪ দঃবিঃ।উক্ত মামলা দায়ের হওয়ার পর তারা আমাকে খুন, জখম , জানমালের ক্ষতি করার হুমকি ধামকি দিচ্ছে । আমি প্রতিমুহূর্তে নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছি। আমার লিখিত বক্তব্য আপনাদের পত্রিকায় তুলে ধরে প্রসাশনের হস্তক্ষেপ কামনা করি ।