পুঠিয়া (রাজশাহী) প্রতিনিধিঃ রাজশাহীর পুঠিয়ায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এবং রাস্তার জায়গা দখল করে ঘর নির্মাণ করার প্রতিবাদে প্রবাসীর বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও ৩ ভরি স্বর্ণের গহনা, নগদ ৩ লাখ টাকাসহ জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় সংঘর্ষে ২ জন আহত হয়। আহরা পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছে। সোমবার সকাল ৯ টার দিকে রাজশাহী জেলার পুঠিয়া উপজেলার ভালুকগাছী ইউনিয়নের ফুলবাড়ি মধ্যে গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এ সময় প্রবাসীর শশুর জামায়াতের কর্মী কাদের আলীর মোটরসাইকেল আগুন ধরিয়ে দিয়ে পুড়িয়ে দেয় দূবৃত্তরা।
ঘটনাস্থলে গিয়ে জানা গেছে, রাজশাহী জেলার পুঠিয়া উপজেলার ভালুকগাছী ইউনিয়নের ফুলবাড়ি মধ্যে গ্রামের নূর আলীর ছেলে জাহাঙ্গীর (প্রবাসী) প্রায় ১২ বছর থেকে মালোশিয়ায় চাকুরী করেন। জাহাঙ্গীর ধোপাপাড়া গ্রামের জামায়াতের কর্মী কাদের আলী মেয়ে পলিকে বিয়ে করে তাদের দুই সন্তান রয়েছে। বর্তমানে জাহাঙ্গীর প্রবাসে আছেন।
স্থানীয়রা জানান, জাহাঙ্গীরের শশুর জামাতের কর্মী কাদের আলীর নেতৃত্বে রাস্তার জায়গা দখল করে ঘর নির্মাণ করে। এলাকাবাসী প্রতিবাদ করলেও কোন তোয়াক্কা করেনি। তার ধারাবাহিকতায় আজকেও বাড়ির কাজ করছিলো। সে সময় এলাকাবাসী প্রতিবাদ করলে তাদের লোহার রড় দিয়ে মারধর করে। এ সময় সাইফুল ইসলাম (৩৫) এবং বেলি বেগম আহত হয়। সে সময় তাদেরকে উদ্ধার করে পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করে। এর মধ্যে সাইফুল ইসলাম মারা যাওয়ার খবর পেয়ে জনগণ তাদের বাড়ি ঘর ভাংচুর করে। আর ঘটনাস্থলে উষকানী দেওয়ায় প্রবাসীর শশুর জামায়াতের কর্মী কাদের আলী কে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ নিয়ে যায়।
প্রবাসীর স্ত্রী পলি বেগম এবং স্থানীয়রা জানান, আমার স্বামী বিদেশে থাকে। আমার ছেলে মাদ্রাসায় থেকে পড়াশুনা করে। আমার ৮ বছরের এক মেয়েকে নিয়ে বাসায় থাকি। সোমবার সকালে আমাদের বাড়ির সামেন মাটি রাখা ছিলো। সেই মাটি চাচা শশুরকে নিয়ে টেনে বাড়িতে নিচ্ছিলাম। এ সময় পাশ্বের বাড়ির মনির, সাইফুল সহ অনেকে এসে আমাদের উপর চড়াও হয় এবং মোবাইলে ভিডিও ধারণ করে। এ সময় অনেকে লোকজন উপস্থিত হলে সংর্ঘষের সৃষ্টি হয়। তবে মনিরা পূর্বে থেকে আমার শশুরের জমি পাবে বলে বিবাদ করে আসছিলো। তারই সূত্র ধরে আমাদের উপর হামলা চালায়। বাড়ি ভাংচুর ও লুটপাট করে। আমি একাই বাড়িতে আতংকে থাকি। আমার বাড়ি ঘর ভাংচুর ও লুটপাট ও মারধর করার বিচার দাবী করছি।
এ ব্যাপারে পুঠিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ কবির হোসেন বলেন, কাদেরকে আটক করা হয়নি। পরিস্থিতির কারনে তাকে পুলিশ তাকে নিয়ে আসে। বর্তমানে সেখানকার পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। তবে কেউ থানায় লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।