
পুঠিয়া (রাজশাহী) প্রতিনিধিঃ রাজশাহীর পুঠিয়ায় ওমান প্রবাসীর মেয়ে, দশম শ্রেণীর ছাত্রী (১৫) নিখোঁজ হলেও দুই দিনেও উদ্ধার হয়নি। রবিবার সকালে রাজশাহী জেলার পুঠিয়া উপজেলার কার্ত্তিকপাড়ায় এই ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় পুঠিয়া থানায় একটি সাধারণ ডাইরী করা হয়েছে।
নাবালিকা স্কুল ছাত্রীর মা শিরিনা বেগম জানান, আমার মেয়ে বড়বড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্রী। কার্ত্তিকপাড়ার লালন মাষ্ঠারের কাছে প্রাইভেট পড়ে। রবিবার সকালে প্রাইভেট পড়তে যায়। তারপর আর বাড়ি ফিরে আসেনি। আত্নীয় স্বজনের বাড়িতে খোঁজাখুজি করে পাওয়া যায়নি। পড়ে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি আমার মেয়েকে বড়বড়িয়া গ্রামের আব্দুলের কলেজ পড়ুয়া ছেলে সেলিম (২২) জোর করে ধরে নিয়ে গেছে। তার পরিবারের সাথে যোগাযোগ করেছি তারা সোমবার সকালের মধ্যে আমার মেয়েকে ফিরিয়ে দিতে চেয়েছিলো। কিন্তু সোমবার বিকেল পর্যন্ত আমার মেয়েকে ফিরিয়ে দেয়নি। আমরা থানায় যায় অপহরণ মামলা করার জন্যে কিন্তু ঘটনাটি জিডি আকারে নিয়েছে। আর পুলিশ বলেছে সোমবার সকালের মধ্যে আমার মেয়েকে খুজে এনে দিবে। কিন্তু বিকেল পেরিয়ে গেলেও খুজে এনে দেইনি।
প্রাইভেট শিক্ষক লালন মন্ডল জানায়, রবিবার সকাল পৌনে ৭ টার দিকে সেই ছাত্রী ও তার চাচাতো বোন পড়তে আসে। সে সময় আমি দোকানে ছিলাম। সেই ছাত্রী রাস্তার উপরে থেকে তার বোনকে পাঠায় রুমের চাবি নিতে। সে চাবি নিয়ে যায়। এরপর আমি দোকান বন্ধ করে সেই রুমে গিয়ে দেখি কেউ নাই। তারপর শুনি সেই ছাত্রী নিখোঁজ হয়েছে।
ছেলে চাচা তাজুল ইসলাম জানায়, আমার ভাতিজার সাথে আমার কোন সর্ম্পক নাই। তারা আমার নামে মামলাও করেছিলো। আমি গাড়ি চালানোর কাজে বাহিরে আছি। আর তাদের কোন খবর আমার জানা নাই।
এ ব্যাপারে তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই শামীম জানায়, আমরা বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ করছি। তাদের মোবাইল নম্বর একটি পেয়েছি। কিন্তু সেই নম্বর বন্ধ আছে। আর তার এক বন্ধুর সাথে কথা বলেছি তারাও কোন খোঁজ দিতে পারছেনা। তবে আমরা চেষ্টায় আছি।
থানার অফিসার ইনচার্জ কবীর হোসেন জানায়, এ ব্যাপারে থানায় একটি জিডি হয়েছে। আমারা উদ্ধারের চেষ্টা করছি। উদ্ধার হলে মামলা হবে।