পুঠিয়ায় গোপন চুক্তির মাধ্যমে গম সংগ্রহের অভিযোগ


পুঠিয়া (রাজশাহী) প্রতিনিধি: রাজশাহীর পুঠিয়ায় গোপন চুক্তির মাধ্যমে গম সংগ্রহ অভিযান চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে কৃষকদের তালিকা সাংবাদিকদের দিতে গরিমশির অভিযোগ উঠেছে।

জানাগেছে, রাজশাহী জেলার পুঠিয়া উপজেলায় গত ৫ মে থেকে গম, ধান ও চাউল সংগ্রহ অভিযান শুরু হয়। এরপর থেকে প্রকৃত কৃষকরা সেখানে ধান ও গম সরবরাহ করতে পারছেনা। গোডাউনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা’র যোগসাজসে ডিলাররা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে এগুলো সরবরাহ করছে বলে নাম না প্রকাশের শর্তে কৃষকরা জানান। যার কারণে এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে ঘুরেও সেই তথ্য সাংবাদিকদের দেওয়া হচ্ছেনা।

গোডাউনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফার নিকট থেকে যে কৃষকরা গম, ধান ও চাউল সরবরাহ করছে তাদের তালিকা চাইলে তিনি বলেন উপজেলা কৃষি অফিস তালিকা দিয়েছে সেখানে গিয়ে তালিকা নেন। আর তালিকা দিতে পারবো না। সেটা নিতে হলে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের অনুমতি লাগবে।

পরবর্তী সময়ে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ আলী’র নিকট তথ্য চাইলে তিনি বলেন, তালিকা গোডাউনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নিকট আছে। সে সময় তিনি ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে মোবাইল ফোনে বলে দেন। পরবর্তী সময়ে সাংবাদিকরা তার নিকট গেলে তিনি বলেন আমার অফিসে যান সেখানে লোক আছে দিয়ে দেবে। পরবর্তীতে সে অফিসে গেলে সাংবাদিকদের তথ্য দিতে গরিমশি করে বলেন পরে দিচ্ছি বলে তথ্য দেয়না।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুরুল হাই মোহাম্মদ আনাছ বলেন, আমি বলে দিচ্ছি তথ্য দিয়ে দিবে।

উপজেলা চেয়ারম্যান জিএমহিরা বাচ্চু জানান, সাংবাদিকদের তথ্য না দেওয়ার সুযোগ নাই। আমি বলে দিবো তথ্য দিয়ে দিবে।

তারপরও গোডাউনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা রহস্য জনক ভাবে তথ্য এখনো সাংবাদিকদের দেয়নি।